কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে এ বছরও কাপ্তাই হ্রদে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস ধরা বন্ধ রাখা হয়। অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হবে। হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পহেলা মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ, শিকার, বাজারজাত এবং পরিবহন বন্ধ থাকবে। যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।