Saturday, 11 October, 2025

নিরাপদ মাছ উৎপাদনে আসছে ‘জাতীয় মৎস্য নীতি ২০২৫


দেশের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর ‘জাতীয় মৎস্য নীতি ২০২৫’ এর খসড়া তৈরি করেছে। এই নতুন নীতিমালার প্রধান লক্ষ্য হলো রাসায়নিক ও জীবাণুমুক্ত নিরাপদ মাছ উৎপাদন, সরবরাহ ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। বর্তমানে প্রচলিত ১৯৯৮ সালের নীতিমালাটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে খসড়াটি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং এটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর রউফ

এএমআর মোকাবিলা ও জলবায়ু সহনশীলতা

আরো পড়ুন
বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষ: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
বাংলাদেশের ভেনামি চিংড়ি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ি শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পোশাক শিল্পের পরেই স্থান করে নিয়েছে। তবে Read more

কৃষিজমি রক্ষায় আসছে ‘ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫

কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ অর্থনীতি রক্ষায় কৃষিজমি সুরক্ষা একটি জাতীয় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমি মন্ত্রণালয় Read more

নতুন নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলা করে দেশের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা। মাছ চাষে অ্যান্টিবায়োটিকের অবাধ ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা বারবার সতর্ক করেছেন যে, মাছ চাষে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে এএমআর বাড়ছে, যা মানব ও প্রাণী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়াও, খসড়া নীতিমালায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম একটি মৎস্য নীতি কাঠামো তৈরি করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নীতিমালায় যা থাকছে

জানা গেছে, খসড়া নীতিমালায় মাছ চাষের সম্প্রসারণের পাশাপাশি নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  • মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত জলবায়ু শরণার্থীদের সমস্যা সমাধান।
  • স্থানীয় পর্যায়ে তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা।
  • সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা
  • মাছের আমদানি-রপ্তানি সম্পর্কিত দিকগুলো।

মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি

বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক জলাশয়ের আবাসস্থল বাংলাদেশ হ্যাচারি ও বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী:

  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মাছ উৎপাদন ছিল ৫০ লাখ টনের বেশি
  • এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ উৎপাদন এসেছে চাষের মাধ্যমে, যা ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে ছিল মাত্র ১৬ শতাংশ।

মাছ চাষ খাতের এই দ্রুত বৃদ্ধি দেশীয় চাহিদা মেটানো ছাড়াও রপ্তানিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।

0 comments on “নিরাপদ মাছ উৎপাদনে আসছে ‘জাতীয় মৎস্য নীতি ২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ