Tuesday, 04 March, 2025

সর্বাধিক পঠিত

সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন এর অভিযোগ সার ডিলাদের বিরুদ্ধে


ডিলারদের জন্য বরাদ্দ করা ভর্তুকির সার নিয়ে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন এর অভিযোগ উঠেছে। আমদানিকারকদের কাছ থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেআইনিভাবে তুলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অননুমোদিত খুচরা ব্যাবসায়ীদের কাছে সেই সার চলে যাচ্ছে তাদের মাধ্যমে। যার কারণে ভর্তুকির সার কৃষকরা বেশি দামে কিনে নিচ্ছেন।

মাঠ পর্যায়ে এই বিষয়ে কোনো তদারকি নেই বলে কৃষকেরা জানান।

সরকারের নীতিমালা অনুসারে, ডিলারদের অনুকূলে বরাদ্দ করা সার ডিলার নিজে উত্তোলন করবেন।

আরো পড়ুন
মৎস্য খাতে তরুণদের আগ্রহ আশাব্যঞ্জক: ফরিদা আখতার
fish conference

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তরুণদের মধ্যে মৎস্য খাতে কাজ করার প্রতি যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত Read more

পাবদা (Ompok pabda) মাছের লাভজনক চাষ পদ্ধতি

পাবদা মাছ (Ompok pabda) বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাছ। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং চাহিদাও বেশি। সঠিকভাবে চাষ করলে Read more

ডিলার সরাসরি না পারলে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্য থেকে একজনকে উত্তোলনের ক্ষমতা দিতে পারবেন।

মনোনীত প্রতিনিধির ছবি প্রত্যয়ন সাপেক্ষে  লিখিতভাবে এ ক্ষমতা দিতে হয়।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় দেশের সবচেয়ে বড় সার বিপণন কেন্দ্র অবস্থিত।

এখান থেকে দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের জেলা সমূহে সার সরবরাহ করা হয়।

সূত্র অনুসারে নওয়াপাড়ায় ক্ষুদ্র সার ব্যবসায়ী রয়েছেন দুই শতাধিক।

বেশির ভাগ ডিলার নওয়াপাড়ায় আসেন না।

তারা এই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে কাগজে-কলমে সার উত্তোলন দেখান।

ডিলাররা এই বরাদ্দের অধিকাংশ সার আমদানিকারক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে দিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সারের ভুয়া রিপোর্ট  সংগ্রহ করছেন।

এভাবে বিভিন্ন হাত ঘুরে বেশি দামে পৌঁছে কৃষকের কাছে।

কয়েকজন ডিলারের প্রত্যয়নপত্র ঘেঁটে অভিযোগ এর সত্যতা মেলে।

দেখা যায়, তাঁরা বরাদ্দ এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) ও ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার উত্তোলনের ক্ষমতা নওয়াপাড়ার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বেআইনি ভাবে দিয়েছেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরাসরি বিদেশ থেকে টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার আমদানি করে।

এ ছাড়া সরকার–নির্ধারিত বেসরকারি সার আমদানিকারকদের মাধ্যমে আমদানিকৃত সার এ সরকার ভর্তুকি দেয়।

কৃষক পর্যায়ে নায্য বিক্রয়মূল্যে সার বিক্রি নিশ্চিত করার দায়িত্ব মূলত জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির।

এ কমিটির নীতিমালায় উল্লেখ আছে যে কোনো আমদানিকারক বা ডিলার এর বিরুদ্ধে বেশি দামে সার কেনাবেচা করার ব্যাপারটি প্রমাণিত হলে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এতে নিবন্ধন বাতিল, কালো তালিকাভুক্ত করা ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন।

এ রকম অভিযোগ তাদের নজরে আসেনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) দীপঙ্কর দাশ।

তিনি সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে জানান।

বেশি দামে সার বিক্রি ঠেকাতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

এ পর্যন্ত বেশি দামে সার কেনার অভিযোগ তারা পাননি।

অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

0 comments on “সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন এর অভিযোগ সার ডিলাদের বিরুদ্ধে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ