Wednesday, 03 September, 2025

মুলার কেজি ২ টাকা, হতাশ কৃষকেরা


নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ২ টাকা কেজিতে মুলা বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদনকারী কৃষক ৬ মণ মুলা বেচে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারছেন না। শীতের সবজির দামে ক্রেতারা খুশি হলেও অস্বস্তিতে ভুগছেন বিক্রেতারা।

নীলফামারীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের বাজার সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কে অবস্থিত।

ভোরে সেখানে পাইকারি বাজার শুরু হয়ে বেচা-কেনা চলে দুপুর পর্যন্ত। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এই পাইকারি বাজারে এসে কাঁচা তরিতরকারি কিনে নিজ এলাকায় নিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ টাকায়। খুচরা দোকানিরা এসব কিনে বাজারে ৪-৫ টাকায় বিক্রি করছেন।

আরো পড়ুন
ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়: খামারি ও কৃষকের জন্য জরুরি নির্দেশিকা

ক্ষুরা রোগ বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD) একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও শুকরের Read more

কাজু ও কফি: যেভাবে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি

পাহাড়ের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কাজু বাদাম ও কফি চাষ। একসময় আমদানিনির্ভর এই দুটি ফসল এখন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ Read more

সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর এলাকার কৃষক আবেদ আলী বলেন, পাইকারি বাজারে মুলা এনে বিক্রি হচ্ছে না। প্রায় সোয়া ৬ মণ মুলা বেচে ৫০০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে।

উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর এলাকা থেকে মুলা বিক্রি করতে আসা রবিউল বলেন, ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬ শতক জমিতে মুলার চাষ করেছি। আজ প্রথম হাটে মুলা বিক্রি করতে এসেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। বাজারে মুলা বিক্রি করতে এসে বিপাকে পড়েছি। ক্রেতা না থাকায় ২ টাকা কেজিতে মুলা বিক্রি করেছি।

বাজারে এখন আলু, বেগুন, পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও মুলাসহ অন্যান্য সবজির ক্রেতা নেই বললেই চলে। করোনাকালে ক্রেতার অভাবে প্রতি কেজি মুলা ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।

বাজারে মৌসুমী শীতের সবজির দাম কমেছে। বর্তমানে ফুলকপি ২৫, পাতাকপি ৩০, বরবটি ৫০, সিম ৮০, করলা ৫০, গাঁজর ১০০, বেগুন ৩০ ও লাউ পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া বাজারে ওঠা নতুন আলু ৭০ ও পুরোনো দেশি আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, বোতলাগাড়ীতে এবার প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হচ্ছে। ফলে শাক-সবজির দাম কমে গেছে।

0 comments on “মুলার কেজি ২ টাকা, হতাশ কৃষকেরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ