নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এখনও পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি, কিন্তু মহাকাশে তাঁর ব্যস্ততা থেমে নেই। নিত্যনতুন গবেষণায় মগ্ন সুনীতা বর্তমানে চেষ্টা করছেন মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে লেটুস চাষের সম্ভাবনা যাচাই করতে। তাঁর সঙ্গী নভোশ্চর বুচ উইলমোর।
গবেষণার উদ্দেশ্য
সুনীতার গবেষণার মূল লক্ষ্য হল মহাকাশে সীমিত পানির ব্যবহারে লেটুস গাছ চাষ করা এবং তা থেকে পাওয়া ফলাফল দিয়ে পৃথিবীর খরাপ্রবণ অঞ্চলে কৃষির উন্নত উপায় খুঁজে বের করা।
গবেষণার পদ্ধতি
নাসার “অ্যাডভান্সড প্ল্যান্ট হ্যাবিট্যাট” প্রোগ্রামের আওতায়, লেটুসের জন্য প্রয়োজনীয় পানির নমুনা মহাকাশে নিয়ে আসা হয়। মাইক্রোগ্র্যাভিটির প্রভাব এবং পানির পরিমাণ অনুযায়ী লেটুসের বৃদ্ধি ও উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন সুনীতা।
এই গবেষণা সফল হলে, মহাকাশ অভিযানের সময় খাদ্যসংস্থানের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি পৃথিবীর শুষ্ক ও খরা-পীড়িত অঞ্চলগুলিতেও সীমিত পানিতে ফসল উৎপাদনের পথ সুগম হবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও ভূমিকা
লেটুস গবেষণার পাশাপাশি, সুনীতা তাঁর সহকর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং দীর্ঘ সময় মহাকাশে অবস্থানের কারণে শরীরের ওপর কী প্রভাব পড়ে তা জানতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এর মধ্যে রয়েছে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে রক্তনালীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা।
নাসার মতে, সুনীতা উইলিয়ামসের এই গবেষণা ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ মিশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
মহাকাশ থেকে পাওয়া এই অভিজ্ঞতা শুধু মহাকাশ অভিযানে নয়, পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাতেও সহায়ক হতে পারে।