বরিশালের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে ব্রি ধান-৮৭ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।
ধানে চিটা এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম। বেশি ফলন এবং চাল চিকন ও সাদা বর্ণের হওয়ায় নতুন জাতের এই ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
কম সময়ে উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে পেরে আগাম ধান কেটে অন্যান্য রবি শস্য উৎপাদনের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
ধানের বীজ রোপনের ১২৫ থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক। ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রতি হেক্টরে উৎপাদিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ মেট্রিক টন ধান।
নিয়ম মেনে নতুন জাতের এই ধান চাষ করার পাশাপাশি সঠিক পরিচর্যা করায় প্রত্যাশার চেয়েও ফলন বেশি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটর উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৭৬ এর বীজ রোপনের পর কর্তনে সময় লাগে ১৬৩ দিন এবং ব্রি ধান-৭৭ কর্তনে লাগে ১৫৪ দিন সময়।
দুটি জাতেই গড়ে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়। কৃষি বিজ্ঞানীরা আরও কম সময়ে উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের গবেষণা শুরু করেন। ২০১৮ সালে ব্রি ধান-৮৭ নামে নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগাম ফসল কাটতে পারায় ওই জমিতে এখন সরিষা, আলুসহ অন্যান্য রবি শস্য করার উদ্যোগ নিতে পেরেছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলনের খবরে প্রতিদিনই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দেখতে আসছেন নতুন জাতের ধান। তারাও আগামীতে উচ্চ ফলন পেতে এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ব্রি এর প্রধান ড. মো. আলমগীর হোসাইন জানান, নতুন জাতের এই ধানের চাল চিকন এবং বর্ণ সাদা।
বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকরা এই ধান চাষ করলে লাভবান হবেন। নতুন জাতের ব্রি ধান-৮৭ আগামী আমন মৌসুমে কৃষকের কাছে প্রধান জাতের ধান হিসেবে পরিগণিত হবে।