Friday, 31 October, 2025

বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ হচ্ছে বগুড়ায়


বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ হচ্ছে বগুড়া জেলায়

দেশ প্রথমবারের মতো বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। বগুড়ায় আহসানুল কবির ডালিম নামে এক কৃষক চাষ করেছেন এটি। পরীক্ষামূলকভাবে বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করে এরই মধ্যে সফলতা পেয়েছেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে এই বেগুন চাষ করে তিনি সফলতা পেয়েছেন

সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আহসানুল কবির ডালিম।

আরো পড়ুন
সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়লো: ৫০ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সুযোগ
রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল

রপ্তানির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর অবশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার Read more

হালদা নদী রক্ষায় বড় পদক্ষেপ: পরিবর্তন আসছে গেজেটে, বন্ধ হবে তামাক চাষ ও দূষণ
হালদা নদী, গেজেট পরিবর্তন, তামাক চাষ বন্ধ

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Read more

তিনি বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ করে থাকেন।

তবে তার বেশি আগ্রহ উদ্যান ও সাথি ফসলের প্রতি।

সেখান থেকেই এই কৃষক দেশীয় বারি-১২ জাতের বেগুনের সন্ধান পান।

এবছর পরীক্ষামূলকভাবে এই বেগুনের চাষ করে প্রাথমিকভাবে সফলতাও পেয়েছেন।

তিনি জানান এখন বাণিজ্যিকভাবে এই বেগুন চাষের পরিকল্পনা করছেন।

দেশি জাতের উচ্চফলনশীল এই বেগুন চাষে কষ্ট কম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও খুব বেশি বলে জানা যায়।

গত বছর পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যান তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি-১২ জাতের বেগুনের বীজ সংগ্রহ করেন।

এরপর সেখান থেকে তিনি প্রায় এক হাজার চারা উৎপাদন করে।

এরপর দুটি জমিতে বারি-১২ বেগুন চাষ করেন।

এখন জমি থেকে ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের বেগুন পেয়েছেন।

গাছে থাকলে এই ওজন আরও বেশি হতো। এখনও কয়েকটি আছে বীজের জন্য। এগুলোর ওজন আরও বেশি হতে পারে।’

মাঠে গিয়ে পেঁয়াজ ও আমের বাগানে বেশ কয়েকটি বেগুনগাছ দেখা যায়।

প্রায় প্রতিটি গাছে বড় সাইজের বেগুন যা দেখে মনে হবে মাঝারি আকারের লাউ।

উদ্যোক্তা ডালিম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বারি-১২ বেগুনটি চাষের সময় কোনো রাসায়নিক সার বা ওষুধ ব্যবহার করেননি।

ফলন নিয়ে তিনি খুবই সন্তুষ্ট।

২০ শতক জমি থেকে প্রায় ২৫ মণ বেগুন উৎপাদন হবার কথা জানান তিনি।

প্রতি কেজি বেগুন গড়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি জানান, প্রায় ২০ বছরে তাদের এলাকায় কোনো বেগুনের আবাদ হয়নি যেটি তিনি শুরু করতে চান।

আপাতত বীজ থেকে বেগুন করছেন।

বগুড়া হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা জানান সম্প্রতি এক পরিদর্শনে তারা বেগুনের নতুন জাতটি দেখে কৃষকরা আগ্রহী।

এ বিষয়ে জেলা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আব্দুর রহিম।

তিনি জানান, বারি-১২ জাতের বেগুনের প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি আকারে অনেক বড় হয়।

এ জাতটি মূলত ইনব্রিড (দেশীয়) জাত বলে উল্লেখ করেন।

আব্দুর রহিম আরও জানান, বেগুনটি  ভর্তা ও ভাজি করে খাওয়ার জন্য খুবই সুস্বাদু।

0 comments on “বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ হচ্ছে বগুড়ায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ