Friday, 27 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

বর্ষাকালে অনাবৃষ্টি, চাষির মনে নেই স্বস্তি


বর্ষায় কোন বৃষ্টি পাতের দেখা না পেয়ে চরম বিপাকে উত্তরাঞ্চলের চাষিরা। শ্রাবণ মাস চলছে, কিন্তু খেতে পানি নেই, বরং শুকিয়ে আছে। ঘোর বর্ষাকালে এহেন বৃষ্টির অভাবে চিন্তিত কৃষকেরা।

বাংলা দিনপঞ্জি ঘাঁটলে দেখা যাবে যে শ্রাবণ মাসের অর্ধেক ইতিমধ্যেই পার হয়ে গেছে। কিন্তু রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা নেই এই ভরা বর্ষাকালেও ।বৃষ্টি যা হচ্ছে তা কখনো টিপ টিপ করে, কখনোবা সামান্য একপশলা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রামের চাষিরা আমন ধান চাষ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। একই ভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়েও বিপাকে তারা। খাল-বিলের পানি শুকিয়ে কমে যাওয়ার কারনে পাট জাগ দেওয়া যাচ্ছে না।

আরো পড়ুন
কবুতর পালনে করনীয় ও লক্ষনীয়

অনলাইনে কবুতরের জাত নিয়ে প্রচুর কৌতূহল দেখা যায়। শুধু গিরিবাজ বা সিরাজি নয়, আরও অনেক ধরনের কবুতর বাংলাদেশে জনপ্রিয়। এদের Read more

ফলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা জনপদ: এক অনন্য উৎসব ‘ফল মেলা’

বাংলার বাতাসে যখন আমের সুবাস, কাঁঠালের ঘ্রাণ আর জাম-লিচুর মিষ্টি রসে ভরে ওঠে জনপদ, তখনই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বসে এক Read more

কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায় আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ হতে শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যন্ত আমনের চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত সময় । কিন্তু  এবছর মৌসুম শুরু হবার সময় থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা মিলছে না।  যথেষ্ট পরিমান বৃষ্টি না হলে জমিতে সেচ দিতে গেলে চাষিদের অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাবে। অন্যদিকে জমিতে আগাছা, পোকা ও রোগের আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। যা ধানের ফলনে প্রভাব ফেলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে বলা হয়, গেল বছরে  তেঁতুলিয়ায় বৃষ্টিপাত
রেকর্ড করা হয় ৮০৩ মিলিমিটার থেকে  ১১২৯ মিলিমিটার(জুন-জুলাই)। এ বছরে সে রেকর্ড বলছে যে বৃষ্টিপাত এর পরিমাণ  ৪২৩ মিলিমিটার থেকে ৭৮৯ মিলিমিটার (জুন-জুলাই)। কৃষিবিদ এবং আভাওয়াবিদরা বলছেন যে এটা জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব।

শনিবার দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন অংশে ঘুরে দেখা যায়, আমনের চারা লাগানোর জন্য প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন কৃষিশ্রমিকেরা। পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।  যদিও সেচ দিয়ে ধান লাগানো হয়েছে, কিন্তু এখন জমিতে পানির টান পড়ছে। প্রচণ্ড দাবদাহে লালচে হয়ে গেছে ধানের গাছগুলো।

কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে খোজ নিয়ে জানা যায়, একরের পর একর এমনি এমনি  জমি পড়ে আছে। ক্রমাগত আগাছা জমে জমে সবুজ হয়ে গেছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুসারে তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় উঁচু জমিগুলোতে এখনো আমনের চারা রোপণ সম্ভব হয়নি।  যেগুলোতে সম্ভব হয়েছে  সেগুলোরও পানি শুকিয়ে মাটি ফেটে যেতে শুরু করেছে। ফসল বাচাতে তারা শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে যে চাষিরা যেন তাদের সম্পুরক সেচ চালিয়ে যেতে থাকেন।

0 comments on “বর্ষাকালে অনাবৃষ্টি, চাষির মনে নেই স্বস্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ