Friday, 17 October, 2025

বর্ষাকালে অনাবৃষ্টি, চাষির মনে নেই স্বস্তি


বর্ষায় কোন বৃষ্টি পাতের দেখা না পেয়ে চরম বিপাকে উত্তরাঞ্চলের চাষিরা। শ্রাবণ মাস চলছে, কিন্তু খেতে পানি নেই, বরং শুকিয়ে আছে। ঘোর বর্ষাকালে এহেন বৃষ্টির অভাবে চিন্তিত কৃষকেরা।

বাংলা দিনপঞ্জি ঘাঁটলে দেখা যাবে যে শ্রাবণ মাসের অর্ধেক ইতিমধ্যেই পার হয়ে গেছে। কিন্তু রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা নেই এই ভরা বর্ষাকালেও ।বৃষ্টি যা হচ্ছে তা কখনো টিপ টিপ করে, কখনোবা সামান্য একপশলা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রামের চাষিরা আমন ধান চাষ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। একই ভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়েও বিপাকে তারা। খাল-বিলের পানি শুকিয়ে কমে যাওয়ার কারনে পাট জাগ দেওয়া যাচ্ছে না।

আরো পড়ুন
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবাদি Read more

১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনছে সরকার, মোট ব্যয় ৭২২ কোটি টাকা
এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় চুক্তিতে কানাডা, মরক্কো এবং উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে সৌদি আরব ও কাফকো Read more

কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায় আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ হতে শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যন্ত আমনের চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত সময় । কিন্তু  এবছর মৌসুম শুরু হবার সময় থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা মিলছে না।  যথেষ্ট পরিমান বৃষ্টি না হলে জমিতে সেচ দিতে গেলে চাষিদের অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাবে। অন্যদিকে জমিতে আগাছা, পোকা ও রোগের আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। যা ধানের ফলনে প্রভাব ফেলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে বলা হয়, গেল বছরে  তেঁতুলিয়ায় বৃষ্টিপাত
রেকর্ড করা হয় ৮০৩ মিলিমিটার থেকে  ১১২৯ মিলিমিটার(জুন-জুলাই)। এ বছরে সে রেকর্ড বলছে যে বৃষ্টিপাত এর পরিমাণ  ৪২৩ মিলিমিটার থেকে ৭৮৯ মিলিমিটার (জুন-জুলাই)। কৃষিবিদ এবং আভাওয়াবিদরা বলছেন যে এটা জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব।

শনিবার দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন অংশে ঘুরে দেখা যায়, আমনের চারা লাগানোর জন্য প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন কৃষিশ্রমিকেরা। পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।  যদিও সেচ দিয়ে ধান লাগানো হয়েছে, কিন্তু এখন জমিতে পানির টান পড়ছে। প্রচণ্ড দাবদাহে লালচে হয়ে গেছে ধানের গাছগুলো।

কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে খোজ নিয়ে জানা যায়, একরের পর একর এমনি এমনি  জমি পড়ে আছে। ক্রমাগত আগাছা জমে জমে সবুজ হয়ে গেছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুসারে তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় উঁচু জমিগুলোতে এখনো আমনের চারা রোপণ সম্ভব হয়নি।  যেগুলোতে সম্ভব হয়েছে  সেগুলোরও পানি শুকিয়ে মাটি ফেটে যেতে শুরু করেছে। ফসল বাচাতে তারা শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে যে চাষিরা যেন তাদের সম্পুরক সেচ চালিয়ে যেতে থাকেন।

0 comments on “বর্ষাকালে অনাবৃষ্টি, চাষির মনে নেই স্বস্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ