Saturday, 21 December, 2024

সর্বাধিক পঠিত

পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি


বর্তমানে পেপের দাম বেশি। পেপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি মেনে সঠিক সময়ে চাষাবাদ করলে ফলন বেশি করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন কিছু বাস্তব জ্ঞান।

জমি নির্বাচন যে বিষয় খেয়াল করবেন

জল নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত দোঁয়াশ বা বেলে দোঁয়াশ মাটি পেঁপে চাষের উপযোগী।

আরো পড়ুন
কোয়েল পাখি (quail birds) পালন পদ্ধতি

কোয়েল পাখি পালন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কারণ এটি অল্প জায়গায় এবং কম খরচে করা যায়। নিচে কোয়েল পাখি Read more

কিভাবে বাসায় বাজরিগার (Budgerigar Bird) পাখির যত্ন নিবেন?

বাজরিগার পাখি পালন করার জন্য সঠিক পরিচর্যা, সুষম খাবার, ও একটি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজরিগার পাখি বাসায় পালন Read more

পেপের  জাত হতে উচ্চ ফলন শীল

ওয়াশিংটন, কোয়েম্বাটুর-১ ও কোয়েম্বাটুর-২, কুর্গ হানিডিউ, সোলো সানরাইজ। হাইব্রিড জাত : পুসাডোয়ার্ফ, পুসা নানহা, পুসা ম্যাজ্যেষ্টিক, পুসা রাসেল ইত্যাদি

কিভাবে পেপের ভাল ফলন পাবেন

বীজ বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা দরকার। প্রতি হেক্টরের জন্য ১৫০ ৩০০ গ্রাম বীজের দরকার। বীজতলায় চারা তৈরী করে নিতে হবে।

গাছ রোপনের পদ্ধতি

৪৫ সেমি. লম্বা, ৪৫ সেমি. চওড়া ও ৪৫ সেমি. গভীর গর্ত খুঁড়ে গাছ লাগাবার ১ মাস আগে প্রতি গর্ত্তে ১০ কেজি গোবর বা আবর্জনা সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ত ভর্তি করতে হবে।

চারা লাগাবার ভাল সময় চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ মাস পৰ্য্যন্ত প্রতি গর্ত্তে ১-৩টি চারা গাছ রোপন করতে হবে।

সারি থেকে সারি ১.৮ মিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১.৮ মিটার হওয়া উচিত। প্রতি হেক্টরে চারা লাগে প্রায় ৯ হাজার। তবে যেখানে রৌদ্রের প্রখরতা বেশী সেখানে ১.৫ x ১.৫ মিটার দূরত্বে গাছ লাগান উচিত। এতে প্রতি হেক্টরে চারা লাগবে ১২-১৩ হাজার।

পেপের বাগান তৈরিতে করনীয়

চারা থেকে চারার দুরত্ব হবে ১.৮ – ২ মিটার।

পেপে রোপণের জন্য ৪৫*৪৫*৪৫ সেমি গর্ত করতে হবে। গর্তের উপরের মাটি একপাশে ও নিচের মাটি অন্য পাশে রাখতে হবে।

চারা রোপণের ১৫-২০ দিন আগে গথের উপরের মাটির সাথে ১৫ কেজি পচা গোবর, ২৫০ গ্রাম জিপসাম, ৫০০গ্রাম টিএসপি, ২০ গ্রাম জিংক সালফেট, ২০ গ্রাম বরিক এসিড মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে এবং বাগানে সেচ দিতে হবে।

পেঁপে চাষের সার প্রয়োগর আধুনিক পদ্ধতির

প্রতি বৎসর প্রতি গাছের ১৫ কেজি গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। তা ছাড়া প্রতি গর্তে ১৫০ গ্রাম নাইট্রোজেন, ১৫০ গ্রাম ফসফেট ও ১৫০ গ্রাম পটাশ তিনবারে সমান ভাগ করে গাছ লাগাবার পর তিন মাস অন্তর অন্তর দিতে হবে।

প্রতি হেক্টরে প্রতি বছর সার লাগে ৪৫০ কেজি, নাইট্রোজেন ৪৫০ কেজি ফসফেট এবং ৪৫০ কেজি পটাশ।
মাটিতে যথেষ্ট রস না থাকলে সার দেওয়ার পর সেচ দিতে হবে।

গাছের পরিচর্যা ফলন ভাল হয়

গাছের গোড়া থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে ও কোদাল দিয়ে গোড়ার মাটি কুপিয়ে আলগা করে দিতে হবে।

চারা লাগাবার ৪-৫ মাস পরে ফুল আসলে প্রতি গর্ত্তে একটি করে সবল স্ত্রী গাছ রেখে বাকী গাছগুলো তুলে ফেলতে হবে।
বাগানের মোট গাছের শতকরা ১০টি পুরুষ গাছ রাখা দরকার। এগুলি বাগানের চারদিকে ছড়িয়ে থাকতে হবে।

পেঁপের ফলন ও আকার সেচের উপর নির্ভর করে। সাধারণতঃ শীতের সময় ১০-১২ দিন পর একটি করে ও গরমের সময় ৭-৮ দিন পর একটি করে সেচ দেওয়া দরকার।

লম্বা রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে। সেচের পর ‘জো’ হলে কোদাল দিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে।

কখন পেপে গাছে পেপে ধরে

চারা লাগাবার ৮-১০ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। ফল খুব বেশী থাকলে সবগুলি সমান বড় হতে পারে না। কিছু ফল ছোট বা মাঝারী অবস্থায় পেড়ে নিতে হবে।

পেঁপে সবজি হিসাবে ব্যবহার করলে ফলের কষ যখন হালকা হয়ে আসে এবং জলীয় ভাব ধারণ করবে তখন সংগ্রহ করতে হবে। ফলের গায়ে যখন হালকা হলুদ ভাব দেখা যাবে তখন ফল হিসাবে সংগ্রহ করতে হবে।

হেক্টর প্রতি পেঁপের ফলন কেমন হয়?

উপযুক্ত নিয়মে ও পেঁপে চাষ করার নিয়মগুলো অনুশরণ করলে হেক্টর প্রতি ৪০ থেকে ৬০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়।

0 comments on “পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *