Sunday, 01 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

পতিত জমিতে ফেলনের চাষ


ফেলন আমাদের দেশে ডাল জাতীয় ফসলের মধ্যে অন্যতম। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে এটি খুব জনপ্রিয়। এ জাতীয় ডাল পর্যাপ্ত সূর্যের আলোযুক্ত পতিত জমিতে ভালো হয়। পতিত জমিতে ফেলনের চাষ হতে পারে খুব লাভজনক। সেচ ছাড়াই চাষ করা যায় এ ডাল। তাছাড়া বাজারে এটির চাহিদাও রয়েছে বেশ।

মাটির ধরনঃ

আরো পড়ুন
AHCAB নির্বাচনে ‘আহকাব আলফা’ প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়

এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (AHCAB)–এর ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত Read more

রাঙ্গামাটিতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা

টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাঙ্গামাটির জনজীবন। কখনো ভারী, কখনো মাঝারি আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের Read more

বেলে দো-আঁশ থেকে এঁটেল দো-আঁশ মাটি ফেলন চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত।

জমি হতে হবে উঁচু ও মাঝারি উঁচু এবং উত্তম পানি নিষ্কাশনযুক্ত।

ফেলন খুব সংবেদনশীল, পানি জমলে গাছ মারা যায়।

এই ফসল জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।

কিভাবে চাষ করবেনঃ

প্রথমে জমি চাষ দিয়ে উপযুক্ত করে দেন।

৩ থেকে ৪ বার মই দিয়ে জমির মাটি ঝুরঝুরা করে নিতে হবে।

খুব বেশি ঝুরঝুরা না হলেও তেমন সমস্যা নেই।

মাটির মধ্যে বীজ সামান্য প্রবেশ করালেই গাছ গজিয়ে যায়।

ফেলনের চাষে মূলত বীজ জমিতে ছিটিয়ে বপন করা হয়।

তবে সারি করেও বপন করা যায়।

সেক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব হতে হবে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার।

অন্যদিকে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।

সারিতেই বপন করতে হবে তেমন বাধ্যবাধকতা নেই।

সময় বাচাতে চাইলে ছিটিয়ে বীজ বপন করা ভালো।

অগ্রহায়ণ মাস ফেলন চাষের জন্য উত্তম।

অর্থাৎ মধ্য-নভেম্বর থেকে মধ্য-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।

এসময় এটি বপনের উপযুক্ত সময়।

প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০ থেকে ৫০ কেজি বীজ বপন করা যায়।

ফেলনের ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে।

প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ থেকে ৩০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে।

এর সাথে প্রতি হেক্টর জমিতে টিএসপি ৪০ থেকে ৪৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।

সাথে এমপি সার ২০ থেকে ৩০ কেজি এবং অণুজীব সার ৪ থেকে ৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।

সব সার শেষ চাষের সময় এক সঙ্গে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

পরিচর্যাঃ

জমিতে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে।

বপনের অন্তত ৩০ দিনের মধ্যে একবার আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।

ফেলনের জমিতে এমনিতে সেচের প্রয়োজন পড়ে না।

তবে ফলন আসার সময় হলে একটি সেচ দেয়া ভালো।

এতে ফেলনের ভালো ফলন হয়।

ফসল সংগ্রহঃ

ফসল সংগ্রহ করার জন্য মধ্য-চৈত্র থেকে চৈত্রের শেষ সপ্তাহ খুবই ভালো সময়।

0 comments on “পতিত জমিতে ফেলনের চাষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ