টমেটো উৎপাদনে রোগবালাই একটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা। কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেক বাড়বে। টমেটোর কয়েকটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আজকের আলোচনা
গোড়া ও মূল পচা (Damping off and root rot) রোগের কারণ :
পিথিয়াম, রাইজোকটোনিয়া, ফাইটোপথোরা, ক্লেরোশিয়াম (Phythium, Rhi“otocnia, Phytophthora, Sclerotium etc.) ও অন্যান্য মাটিবাহিত ছত্রাকের আক্রমণে হয়ে থাকে।
রোগের লক্ষণ:
বীজে আক্রমণ হলে বীজ পচে যায়। বীজ অংকুরোদগমের পরেই প্রাথমিক পর্যায়ে চারা মারা যায় একে প্রিইমারজেন্স ড্যাম্পিং অফ বলে।
পোস্ট-ইমারজেন্স ড্যাম্পিং অফের বেলায় চারার হাইপোকোটাইলের কর্টিক্যাল কোষ দ্রুত কুঁচকে যায় ও কালো হয়ে যায়।
চারার কান্ড- মাটির কাছাকাছি পচে চিকন হয়ে যায়। কাণ্ডের গায়ে ছত্রাকের উপস্থিতি দেখা যায়। বীজ শোধন করে বীজ বপন করতে হবে; বীজ ৫২০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় গরম পানিতে ৩০ মিনিট রেখে শোধন করে নিয়ে বপন করতে হবে;
গোড়া পচা রোগের প্রতিকার
রোগের আক্রমণ দেখা দিলে ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম অথবা কিউপ্রাভিট প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম হিসাবে মিশিয়ে চারার গোড়ায় দিতে হবে।
গাছ বা পাতা কুঁকড়ানো (Leaf curl)
এটি ভাইরাস জনিত রোগ। পাতা কুঁকড়ানো রোগের তিনটা কারনে হয়ে থাকে। যদি গাছে মাকর ও থ্রিপস্ পোকা থাকে তাহলে গাছ কুকরে যায় মটিতে এবং জিং এর ঘাটতি থাকে তখন এটা বেশি দেখা যায়।
পাতার কিনার থেকে শিরার দিকে কুঁকড়িয়ে যায়। পাতা খসখসে হয় এবং হলুদ হয়ে যায়, এতে করে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
প্রতিকার:
রোগ প্রতিরোধ জাতের চারা লাগাতে হবে। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। গাছ রুপনের ১৫ দিন পর থেকেই আট দিন পর পর ভার্টিমেক ও কনফিডর মিস্কার করে স্পে করতে হবে।
জিং যদি চাষে দেন তা হলে চারা লাগানোর এক মাস পর থেকে ১৫ দিন পর পর একবার মিমজিং গোল্ড স্পে করতে হবে।
এ ছাড়া আরো কিছু রোগ আছে যেমন – ব্যাক্টেরিয়াল রোগ ঢলে পড়া, এই রোগ মরিচ ও টমেটো উভয় গাছে হয়ে থাকে।
নাবি ধসা রোগ যা ছত্রাক জনিত রোগ । এ রোগের আক্রমনে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে।