Friday, 18 July, 2025

সর্বাধিক পঠিত

খেজুর চাষে সৌদি খেজুরের চাহিদা বাড়ছে


বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার টন খেজুর আমদানি করা হয়। যেখানে রমজান মাসে সবথেকে খেজুরের চাহিদা বেশি। আমদানি কৃত এই খেজুর আসে সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদি খেজুরের চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল, ঢাকা, কুষ্টিয়া, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদি খেজুরের চাষ হচ্ছে। চাষিরা জানান, খেজুরের চারা রোপণের তিন থেকে চার বছর পর ফল আসে। বীজের চারার চেয়ে কলমের চারায় ফলন তাড়াতাড়ি আসে। বাংলাদেশের মাটি এবং জলবায়ু সৌদি খেজুরের চাষের জন্য খুবই উপযোগী।

saudi-khejur_খেজুর
আরো পড়ুন
অসময়ে তরমুজ চাষে সুবর্ণচরের আবুল বাসারের বাজিমাত!

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক মো. আবুল বাসার। বর্ষাকালে সফলভাবে তরমুজ উৎপাদন করে Read more

বন্যা পরবর্তী মাছ চাষিদের করণীয়

বন্যা মাছ চাষিদের জন্য একটি মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাছ চাষে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে Read more

সৌদি খেজুর চাষ তেমন জটিল কিছু নয়। উপযুক্ত এবং উঁচু জায়গা যেখানে বৃষ্টির পানি জমতে পারে না তেমন জায়গা নির্ধারণ করে জমি খেজুর চাষের জন্য তৈরি করতে হবে। সৌদি খেজুর চাষের ব্যাপারে কিছু ধারণা নিতে পারলে এ খেজুর চাষ তেমন জটিল কিছু নয়।

তবে সৌদি খেজুরের চারা রোপণের আগে স্ত্রী-পুরুষ গাছ দেখে নিতে হবে। বাগান তৈরির সময় স্ত্রী-পুরুষ গাছ দেখে এবং নিয়ম অনুযায়ী রোপণ করতে হবে।

সৌদি খেজুরের চাষ খোলামেলা উন্মুক্ত স্থানে হওয়া উত্তম। কারণ খেজুর গাছগুলো পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পেলে ভালো ফলন আসবে না।

খেজুরের নাম এবং দাম

চাষিরা জানান, আমাদের দেশে উৎপাদিত সৌদি খেজুরের মান বেশ উন্নত। আমাদের দেশে ১৬ প্রজাতির সৌদি খেজুর উৎপন্ন হচ্ছে।

এর মধ্যে রয়েছে আজওয়া, আনবারা, সুক্কারী, বারহি, মরিয়ম, রুথান জাতের খেজুর। আমাদের দেশে উৎপাদিত উন্নতমানের সৌদি খেজুর বাজারে বিক্রি হয় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা।

খেজুর মানবদেহের অনেক উপকার করে থাকে। এক কেজি খেজুর মানুষের শরীরে ৩ হাজার ৭৭০ ক্যালোরি জোগান দেয়। মরু অঞ্চলের ফল হচ্ছে খেজুর। আমাদের বাংলাদেশে সৌদি খেজুরের চাষ হচ্ছে।

0 comments on “খেজুর চাষে সৌদি খেজুরের চাহিদা বাড়ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ