Tuesday, 13 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলের নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন নিজেরাই


কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলের নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন নিজেদের চেষ্টায়। বসতবাড়ির আশপাশে শাক-সবজি চাষ ও গবাদিপশু পালন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। জেলার চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন প্রত্যন্ত চরাঞ্চল। এর অবহেলিত জনগোষ্ঠীর চাষ করা ফসল প্রতি বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলতি বছরও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এতে অর্থনৈতিকভাবে সেখানকার অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের নারীরা বসতবাড়ি ও এর আশপাশে শাক-সবজি চাষ করছেন।

আরো পড়ুন
বোরো ধানের দাম বেড়ে কৃষকদের মুখে হাসি

গত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের চাষাবাদে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিপণন বিভাগ (ডিএএম) এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে Read more

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে ফসলের উৎপাদন কমছে: গবেষণা

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা ও খরার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফসলের উৎপাদন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। Read more

নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এছাড়া এসব দরিদ্র নারীরা ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলেরও স্বপ্ন দেখছেন।

নারীদের এ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন।

বন্যায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ঘর-বাড়ি, গরুর খাবার ও খড়ের গাদা বন্যায় নষ্ট হয়ে যায়।

সরকারের পাশাপাশি এ ক্ষতি কমাতে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ।

সংস্থার ট্রান্সজিশন ফান্ড (এএসডি) প্রকল্পের আওতায় তারা সহায়তা করছেন।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের নারীরা শুরু করে বসতভিটায় সবজি চাষ, হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পালন শুরু করেছেন।

এতেই তাদের জীবনমান পাল্টে যেতে থাকে।

সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পায়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সরদারপাড়া থেকে ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার, হাসপাতাল এবং স্কুল-কলেজে যাওয়ার রাস্তাটি ভেঙে যায়।

এতে এ এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

সমষ্টিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে বন্যায় ভেঙে যাওয়া গ্রামের রাস্তা মেরামত করেন তারা।

‘ফ্রেন্ডশিপ’র ট্রান্সজিশন ফান্ড (এএসডি) প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম মল্লিক।

তিনি জানান, তাদের সহায়তায় সদস্যদের আয় রোজগার নিয়মিতকরণ হচ্ছে।

এর মাধ্যমে একদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে।

অন্যদিকে সম্পদ বৃদ্ধি এবং সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে।

আবার বাল্যবিয়ে রোধ, পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ সম্পর্কে সচেতনতা করা হচ্ছে।

একই সাথে তাদের জাতীয় সংসদ ও সংবিধান সম্পর্কে ধারণা, জিডি করার কৌশল শিক্ষামূলক আলোচনাসহ দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনগোষ্ঠীর ভৌগোলিক দুর্দশাগ্রস্ততা হ্রাসকরণ এবং স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে তারা কাজ করে আসছেন।

তারা কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী এবং রৌমারী উপজেলায় মোট ২৪টি চরে ৭২১ জন সদস্যকে এ প্রকল্প সহায়তা প্রদান করে আসছে।

চিলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক।

তিনি জানান, চিলমারী উপজেলায় ফ্রেন্ডশিপের ট্রানজিশন ফান্ড প্রকল্পের মাধ্যমে ২১১টি পরিবারকে ভেড়া দেয়া হয়েছে।

সেই সাথে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

ফলে ভেড়া পালনের মাধ্যমে পরিবারগুলোর স্বল্প সময়ে অধিক আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তাছাড়া প্রত্যেকটি ভেড়াকে বিনামূল্যে টিকা এবং কৃমিনাশক দেয়া হয়েছে।

0 comments on “কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলের নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন নিজেরাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ