Thursday, 23 October, 2025

কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না আগাম আলু চাষিরা


আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে জয়পুরহাটে

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ধারনা প্রচলিত আছে। বাজারে যত আগে আলু উঠবে, লাভ তত বেশি হবে। এ রকম ধারণা থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন আগাম আলুর চাষ ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু আগাম আলুতে প্রত্যাশিত ফলন পেলেও আলুচাষিরা কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না বাজারে। এতে আগাম আলুচাষিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে জানা গেছে। আলু চাষিরা কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না বিধায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও পাচ্ছেন না কাঙ্খিত দাম

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে।

আরো পড়ুন
সার ডিলারদের অনিয়ম: প্রায় ২৫% লাইসেন্স বাতিল ও কালো তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত

সার খোলাবাজারে বিক্রি, মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত সার ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল এবং কালো তালিকাভুক্ত Read more

ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ফাঁকা সাগরে ভারতীয় জেলেদের অবাধ বিচরণ ও দস্যুতা
নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ডের হাতে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে আটক হওয়া ভারতীয় জেলেদের ট্রলারের ছবি।

প্রজনন মৌসুমে বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ শিকার বন্ধ থাকলেও, ভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ, দস্যুতা ও সম্পদ লুণ্ঠন। মা ইলিশের Read more

এর মধ্যে ২০ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

এর মধ্যে প্রায় আট হাজার হেক্টর জমিতে স্বল্পমেয়াদি আলুর আবাদ করেছেন চাষিরা।

সেসব আলু তাঁদের মধ্যে অনেকেই তুলতে শুরু করেছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলার কয়েকজন আলুচাষির সাথে কথা হয়।

তাদের কাছ থেকে জানা যায়, বিগত মৌসুমে তাঁরা খেত থেকেই আলু বিক্রয় করেছেন।

প্রতি কেজি আগাম জাতের গ্যানুলা ও ডায়মন্ড আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তখন।

আর এ বছর ওই আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮ টাকা দরে।

আলু চাষিরা বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম আলু উৎপাদন করতে অন্তত ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়।

এক বিঘা জমিতে গড়ে ৭৫ মণ আলুর উৎপাদন হয়ে থাকে।

এই হিসাব করে দেখা যায় যে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১০ টাকার কিছুটা বেশি পড়ে।

তবে আলুর প্রচুরতাই আলুর দাম কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

হিমারগুলোতে গত বছরের আলুই মজুদ রয়েছে

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মৌসুমের আলুর মজুত শেষ হয়নি হিমাগারগুলোতে।

সেকারণে বাজারে আলুর স্বল্পতা নেই।

সে কারণেই কৃষকেরা আগাম আলু বিক্রি করলেও পাচ্ছেন না তার নায্য মূল্য।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হোসেন এর সাথে কথা হয়।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে নতুন আলু এত কম দামে বিক্রি হয়নি কখনও।

এমনকি গত বছরেও কৃষকেরা নতুন আলুতে ভালো রকমের দাম পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন বর্তমানে বাজারে এখনো হিমাগারে রাখা গত মৌসুমের আলুই প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।

যার কারণে বাজারে নতুন আলুর চাহিদা অনেক কম।

0 comments on “কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না আগাম আলু চাষিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ