
পুর অঞ্চলের আলু চাষিরা এবার চরম বিপাকে পড়েছেন। বাজারে আলুর দাম নেই, আর হিমাগার মালিকরা বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় আলু সংরক্ষণের সুযোগও পাচ্ছেন না তারা। অনেক চাষিই বাধ্য হয়ে মাঠে আলু ফেলে রেখেছেন। কেউ কেউ বলছেন, আলু মাঠেই পঁচে যাবে, অথবা গরু-ছাগলকে খাওয়াতে হবে।
এ নগরীর চিলমন এলাকার কৃষক গৌরাঙ্গ রায় জানান, চার দিন ধরে উত্তোলন করা আলু জমিতে পড়ে আছে। পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১০-১১ টাকা কেজি দরে, আর খুচরা বাজারে ১৩-১৪ টাকায়। অথচ প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে তাদের খরচ পড়ছে প্রায় ২৮ টাকা। ফলে প্রতি কেজিতে ১৮-২০ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
রংপুর অঞ্চলের কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। পাঁচ জেলায় আবাদ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রত্যাশিত উৎপাদন প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ আলু উত্তোলন শেষ হয়েছে। তবে হিমাগারগুলো বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।
রংপুর জেলায় হিমাগার
জেলায় ৩৯টি হিমাগার রয়েছে, যেগুলোর মোট ধারণক্ষমতা প্রায় ৩ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন। হিমাগার মালিকরা দাবি করছেন, ইতোমধ্যে সব বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের নেতারা কোল্ড স্টোরে বুকিং বন্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে চাষিরা আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন।
রংপুর জেলা হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, “এবার অন্য বছরের তুলনায় আলু উৎপাদন বেশি হওয়ায় কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।