রাণীক্ষেত রোগে গ্রামাঞ্চলে অনেক মুরগী প্রতি বছর মারা যায়। রাণীক্ষেত রোগের (New Castle Disease) কারনে অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। রানীক্ষেত রোগের কারন, লক্ষন ও চিকিৎসা নিয়ে লেখা চাই।
বসতবাড়িতে পালিত হাঁস-মুরগী ও খামারে বিভিন্ন রোগ এর মধ্যে ভাইরাস সংক্রামক রোগ হচ্ছে রানীক্ষেত বা নিউক্যাসেল ডিজিজ। এ রোগটি সর্ব প্রথম ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেল নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়। এবং পরর্বতীতে ভারতের রানীক্ষেত নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়।
 কারণ: নিউক্যাসেল ডিজিজ ভাইরাস।
 এ রোগের লক্ষণ:
- হাঁস-মুরগীর শ্বাসতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ন লক্ষণ প্রকাষ করে।
 - হাঁস-মুরগী সবুজ বর্ণের অথবা সাদা চুনের ন্যায় পাতলা মল ত্যাগ করে।
 - স্নায়ুতন্ত্রের আক্রমনের ফলে হাঁস-মুরগীর ঘাড় বাকা হয়ে যায়।
 - ৩ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত এ রোগের সুপ্তিকাল।

 
- ডানা ঝুলে যায় আক্রান্ত হাঁস-মুরগীর ।
 - খাবার গ্রহন কমিয়ে দেয়।
 - শ্বাস কষ্ট দেখা যায় ফলে হা করে নিশ্বাস নেয়।
 
চিকিৎসা:
- এ রোগের secondary infection এর হাত থেকে বাচার জন্য এন্টিবায়োটিক দিতে হয়।
 - হাঁস-মুরগীর পাতলা পায়খানা করলে ইলেক্ট্রোলাইট দিতে হয়।
 - রানীক্ষেত রোগ হলে হাঁস-মুরগীর দুবল হয়ে পড়ে, ফলে পানিতে ভিটামিন মিশিয়ে দিলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
 
প্রতিকার:
- হাঁস-মুরগীর বাচ্চার বয়স ৩-৫ দিন হলে ভ্যাক্সিন দিতে হবে
 - ১৪-১৭ দিন বয়সে বুস্টার ডোজ দিতে হবে
 - ৬০-৬৫ দিন বয়সে কিল্ড ভ্যাক্সিন দিতে হবে।
 - ৬ মাস পর দ্বিতীয় বার টিকা দিতে হয়, তবে ৪ থেকে ৫ মাস পর পর পরবর্তী টিকা দেওয়া ভাল
 - সুস্থ হাঁস-মুরগীগুলোকে আলাদা করে টিকা দিতে হবে
 
একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

