শুনেছি, পেয়ারা পাতার উপকারিতা বহুগুণ। পেয়ারা পাতা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
পেয়ারা পাতার (Guava Leaves) উপকারিতা
নিয়মিত সাতদিন তিনটি করে পেয়ারা পাতা সেবন করলে হাই ব্লাডপ্রেশার, কোলেস্টেরল, ডাইবেটিস সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোগ থেকে বাঁচা যায়।
পেয়ারা পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর পাশাপাশি এই পাতায় পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ট্যানিন রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী।
এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। পেয়ারা পাতা অকালে মাথার চুল ঝরে যাওয়া কমাতে অনেকটাই রক্ষা করে। সেই সঙ্গে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার রস চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতা চিবিয়ে কিছুক্ষণ মুখের ভিতর রেখে দিলে দাত এর শিরশিরা ভাব কমে যায়। পেয়ারা পাতা দাত এর জন্য খুবই উপকারী।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ ই ডায়বেটিস রোগে আক্রান্ত তাই পেয়ারা পাতা খেলে ডায়বেটিস রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি৩ অর্থাৎ নিয়াসিন রয়েছে এবং রয়েছে ভিটামিন বি৬।
যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।রক্ত চলাচল ও মনযোগ বৃদ্ধিতে নিয়াসিন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
দেহে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও সব অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারি গ্রন্থিগুলোর মধ্যে থাইরয়েড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এই থাইরয়েড হরমোন যদি দেহে কম বা বেশি উৎপন্ন হয় তাহলে আপনার থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা আছে।
এই পিয়ারা পাতা থাইরয়েড এর চিকিৎসায় শ্রেষ্ঠ ঔষধ।
এছাড়াও পেয়ারা পাতা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন থাকায় এটি স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ও মুখের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিশেষ ভাবে কাজ করে।
এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, অ্যান্টঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন।যার ফলে আমাদের শরিরে এলার্জি, রেস, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যায় পেয়ারা পাতা খুব উপকারী।
পোকামাকড় এর কামড়ে ফুলে গেলে সেখানে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
এ ছাড়া শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে, পেয়ারা পাতার সাহায্যে স্পার্ম কাউন্টও উন্নত করা যায়। এর পাশাপাশি পেয়ারা পাতা উর্বরতা বাড়াতেও সক্ষম বলে বিবেচিত হয়েছে। পেয়ারা পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শুক্রাণুর বিষাক্ততার উপর উপকারী প্রভাব ফেলে, যা পুরুষের উর্বরতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
পেয়ারা পাতার (Guava Leaves) অপকারিতা
পেয়ার পাতা বেশি পরিমানে খেলে আপনার পেটে গ্যাস ও ব্যাথা হতে পারে।
সতর্কতাঃ আপনার রোগ হলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।