রাজশাহীর পাইকারি বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তীব্র শীতে জেলেরা মাছ না ধরায় ও বাজারে দেরিতে মাছ আসায় পাইকার সংকটে আড়তের বেচাকেনা কমে গেছে।
জানা যায়, নওদাপাড়া মাছ বাজারে প্রতিদিন চার উপজেলা থেকে আসে মাছের সরবরাহ। প্রতিদিনের ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মাছের বেচাকেনা হয়। তবে শীতের কারণে জেলেরা মাছ ধরছে না। উপজেলার অধিকাংশ পুকুর থেকে বাজারে মাছের সরবরাহ কমছে। তাই বাজারে সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নওদাপাড়া পাইকারি বাজারে দেড়শ ট্রাকের পরিবর্তে মাছ আসছে মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ ট্রাক। সে সাথে কমেছে নদী-নালা ও খালবিলের মাছের যোগান। এ অবস্থায় নগরীর নওদাপাড়া পাইকার বাজারে সবরকম মাছের সরবরাহ কমায় বেড়েছে দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
দাম বাড়লেও বাজারে দেরিতে মাছ আসায় ব্যাপারী সঙ্কটে পড়ছেন আড়ৎদাররা। আর প্রতিদিন মাছের দামের পার্থক্য থাকায় উৎপাদন খরচ মিটিয়ে লাভ করতে পারছেন না দাবি পুকুর মালিক ও আড়ৎদাররা।
মাছ ব্যবসায়ী নাইমুল ইসলাম বলেন, মাছের খাবারের দাম অনেক বেশি। সেই হিসেবেও এখন মাছ বেশি দামে বিক্রি করতে পারছি না।