বায়োফ্লক প্রযুক্তি (biofloc technology) মাছ চাষের একটি টেকসই এবং পরিবেশগতভাবে সবুজ প্রযুক্তি ৷ পানির গুনগতমান এবং ক্ষতিকারক রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে নিয়ন্ত্রণ করে মাছের বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে৷ জলীয় খামার ব্যবস্থার জন্য মাইক্রোবায়াল প্রোটিন খাদ্য হিসেবে সরবরাহ করে।
বায়োফ্লক হল উপকারি ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব ও শৈবালের সমম্বয়ে তৈরি হওয়া পাতলা আবরণ, যা পানিকে ফিল্টার করে অ্যামোনিয়া নামক মাছের বিষ দূরীভূত করে।বায়োফ্লক প্রযুক্তি মূলত বর্জ্য পুষ্টির পুর্নব্যবহারযোগ্য নীতি৷ বিশেষ করে, নাইট্রোজেন, মাইক্রোবায়াল জৈব বস্তুপুঞ্জের মধ্যে খাবারের খরচ কমাতে এবং মাছের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘বায়োফ্লক’ (Biofloc) প্রযুক্তি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে।
বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় লক্ষ্যণীয়ঃ
উৎস (উপকারী ব্যাকটেরিয়া):
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়া যা বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছচাষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আসলে মাছচাষের ফলে উৎপাদিত বর্জ্য কে প্রোটিন সমৃদ্ধ জৈব খাবারে তৈরি করে। এদের কে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বলা হয় যা সঠিক উৎস হতে সংগ্রহ করতে হবে। এদের প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াও বলা হয়।
নিয়মিত পানির গুণাগুণ পরীক্ষা:
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে বায়োফ্লকের জন্য তৈরি যে ট্যাংক সেটির সরবরাহকৃত পানির গুণাগুণ যাচাই করতে হবে নিয়মিত। যেমন-, নাইট্রেট,অ্যামোনিয়া,ফ্লকের ঘনত্ব , নাইট্রাইট, ইত্যাদি পরিমা প করতে হবে নিয়মিত। এগুলো কোন কারনে যদি সঠিক মাত্রায় না থাকে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তাপমাত্রার সমন্বয় করা :
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে তাপমাত্রা সমন্বয় করা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে তাপমাত্রা সব সময় উঠানামা করে বিশেষ করে দিন ও রাত্রের বেলায় এটি বেশি হয়। ফ্লকের বৃদ্ধির জন্য এটি একদমই উপযোগী নয়। তাই পর্যাপ্ত ফ্লকের বৃদ্ধির জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের করতে হবে, সমন্বয় করতে হবে।
জনবল :
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে জনবল খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। জনবল না থাকলে এটা প্রায় অসম্ভব, তবে সেক্ষেত্রে জনবল হলেই হবে না, হতে হবে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং দক্ষ। এই প্রযুক্তিতে যদি পানির গুণাগুণ পরীক্ষা, ফ্লকের ঘনত্ব পরিমাপ, সঠিক মাত্রায় খাদ্য প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান না থাকলে চাষি বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিদ্যুৎ সরবরাহের সার্বক্ষণিক ব্যাবস্থা :
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ট্যাংকে এক সাথে বেশি পরিমানে মাছ রাখা হয়। অক্সিজেনের অভাব যেন না হয় সেজন্য ট্যাংকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। আর তার জন্য সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এর ব্যাতিক্রম হলে ট্যাংকের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে সব মাছ এক সাথে মারা যেতে পারে। এখানে মনে রাখতে হবে কোন ক্রমেই অক্সিজেন ব্যাতিত মাছ রাখা যাবে না, কারন সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ট্যাংকে অক্সিজেন সরবরাহ না করা হলে সব মাছ একসাথে মারা যেতে পারে।
Diptesh dhar
July 13, 2020 at 12:05 amVery helpful for entrepreneurs
Mohammad Nazrul Islam
June 30, 2020 at 12:07 pmThat’s really great initiative!!! for the countries economy. We really expecting such consultancy!!!
এগ্রোবিডি২৪
June 30, 2020 at 1:12 pmthanks a lot to share your complement. It helps us to make more content like this 🙂