কুকুরের কামড়ে বিড়ালের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকতে পারে, তাই দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিড়াল কে কুকুর আচড়ান বা কামড়ানো দুটিই ক্ষতির কারন হতে পারে। বিড়ালকে কুকুর কামড়ালে কি করনীয় ?
বিড়ালকে যদি কুকুর কামড়ায়, তবে এটি একটি জরুরি পরিস্থিতি হতে পারে এবং সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
১. আঘাতের স্থান পরীক্ষা করুন:
- কামড়ের স্থান পরীক্ষা করুন। যদি রক্তপাত হয়, তাহলে প্রথমে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করুন। পরিষ্কার গজ বা কাপড় দিয়ে হালকা চাপ দিন।
- কামড়ের ক্ষত গভীর হলে বা ফুলে যাওয়া শুরু করলে তা দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিত।
২. বিড়ালকে শান্ত রাখুন:
- বিড়ালকে খুব বেশি উত্তেজিত বা চিন্তিত হতে দেবেন না। এটি তার অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে।
- বিড়ালকে শান্ত রাখতে চেষ্টা করুন এবং তার আঘাতের স্থান স্পর্শ করার সময় খুব সাবধানে কাজ করুন।
৩. পশুচিকিৎসককে দেখান:
- কুকুরের কামড় সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটাতে পারে, বিশেষ করে যদি কুকুরটি স্বাস্থ্যকর না হয়।
- বিড়ালকে দ্রুত পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান, কারণ তারা ক্ষতটি পরিষ্কার করে, সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার পরামর্শ দিতে এবং প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।
৪. টিকা পরীক্ষা:
- কুকুরটি যদি একেবারে পোষ্য এবং আপনার জানা থাকে যে সে ভ্যাকসিনেটেড, তবে পরিস্থিতি একটু সহজ হতে পারে। তবে যদি কুকুরটি অজ্ঞাত বা ভ্যাকসিনেশন না থাকে, তবে র্যাবিস এর ঝুঁকি থাকতে পারে।
- বিড়ালকে র্যাবিসের টিকা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. আঘাতের যত্ন নিন:
- ক্ষতটি পরিষ্কার করতে চাইলে, প্রথমে হালকা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর অ্যান্টিসেপ্টিক (যেমন, প্যাভলভিন বা হাইড্রোজেন পারক্সাইড) ব্যবহার করে পরিষ্কার করুন।
- যদি ক্ষতটি গভীর বা গুরুতর হয়, তবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক।
৬. ধীরে ধীরে পর্যবেক্ষণ করুন:
- বিড়ালের স্বাস্থ্য পরবর্তী কয়েক দিন পর্যবেক্ষণ করুন। যদি কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয় (যেমন, জ্বর, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করা, বেশি ঘুমানো বা খারাপ অবস্থায় থাকা), তবে দ্রুত পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
কুকুরের কামড়ে বিড়ালের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকতে পারে, তাই দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।