জলাতংক মানুষসহ সকল গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত একটি মারত্মক রোগ। আক্রান্ত পশুর লালাতে জলাতংক রোগজীবাণু থাকে এবং আক্রান্ত পশুর কামড়ে সুস্থ পশু বা মানুষ এ রোগ জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। গবাদিপশুর জলাতাংক রোগের লক্ষন ও করনীয় কি ?
গবাদিপশুর জলাতাংক রোগের লক্ষন ও করনীয় কি আসুন আলোচনা করা যাক-
জলাতংক মানুষসহ সকল গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত একটি মারত্মক রোগ। আক্রান্ত পশুর লালাতে এ রোগজীবাণু থাকে এবং আক্রান্ত পশুর কামড়ে সুস্থ পশু বা মানুষ এ রোগ জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়।
জলাতংক রোগের লক্ষণঃ
পশু কান সজাগ ও চোখ বড় করে রাখে। মুখ দিয়ে প্রচুর লালা ঝরে। পানি পিপাসা হয়, তবে পান করতে পারে না। ভীষণভাবে অশান্ত হয়ে উঠে। শক্ত রশি ছাড়া আটকে রাখা যায় না। সামনে যা পায় তা’ই কামড়ানোর চেষ্টা করে। আক্রান্ত পশু পরিশেষে নিস্তেজ ও অবশ হয়ে মারা যায়।
লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে মৃত্যুই এ রোগের নিশ্চিত পরিনতি। শিয়াল ও বাঁদুর এ রোগজীবাণুর বাহক এবং প্রধানতঃ কুকুর আক্রান্ত প্রাণী।
জলাতংক রোগে করণীয়ঃ
আক্রান্ত পশুকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করতে হবে। গৃহপালিত কুকুরকে নিয়মিত প্রতিষেধক টিকা প্রদান করতে হবে।
চিকিৎসা অর্থহীন এবং কোন অবস্থায়ই ঔষধ খাওয়ানোর জন্য পশুর মুখে হাত দেয়া যাবে না।
জলাতংক রোগের প্রতিশেধকঃ
পোষা কুকুর / বিড়ালকে নিয়মিত প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে। টিকা দেয়া হয়নি এমন পশুর কামড়ে মানুষ / পশু আক্রানত্ম হলে অনতিবিলম্বে নির্ধারিত মাত্রায় প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে।