পূর্ণিমা তিথিতেও উপকূলের বরগুনার বেতাগী বিষখালী এবং পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে নেই প্রত্যশিত ইলিশ দেখা। ইলিশ সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েই চলছে।
দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষসহ সাধারণরা যথারীতি কিনতে পারছে না পছন্দের ইলিশ।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, মধ্য আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলা শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। এ মৌসুমে পূর্ণিমা তিথিগুলোতে গভীর সমুদ্র থেকে ডিম পাড়ার জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে চলে আসে। এ সময় জেলেদের জালে ধরা পড়ে।
পঞ্জিকানুসারে গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে পূর্ণিমা শুরু হয়ে রবিবার বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে শেষ হয়। এবারের এ পূর্ণিমা তিথিতে জেলেদের জালে কম ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
বেতাগী মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পূর্ণিমার জো কেটে যাওয়ায় এখন তেমন একটা মাছ পড়ছে না।
অমাবস্যা জো এলেই ইলিশ ধরা পড়বে। দু’দিন আগেও ইলিশের দাম কম ছিল। কিন্তু সরবরাহ অপেক্ষা চাহিদা বেশি হওয়ায় এখন ইলিশের দাম বেড়ে গেছে।
গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ গ্রেডের (বড় সাইজের) ইলিশের দাম ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল রবিবার ও আজ সোমবার পৌর শহরের বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ১ কেজি ওজনের ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, গত বছরের এ সময়ের মতো ইলিশ ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে। যার কারণে সরবরাহ অপেক্ষা চাহিদা বেড়ে গেছে।