মাছ চাষের পুকুরে কেন জীবানুনাশক ব্যবহার করতে হয় ? আমি যদি তেলাপিয়া মাছ চাষ করি তাহলে কি নার্সারি পুকুরে প্রস্তুতির সময় জীনানুনাশক ব্যবহার করতে হবে ? মাছ চাষের পুকুরে জীবানুনাশক ব্যবহারের নিয়ম কি ?
মাছ চাষের পুকুরে জীবানুনাশক ব্যবহারের নিয়ম কি ? জীবানুনাশক নিয়ে বিস্তারিত-
মাছের রোগ ব্যবস্থাপনা পানির পরিবেশ খারাপ হলে ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী দ্বারা রোগ হতে পারে। রোগ সংক্রমন হয়ে গেলে মাছ চাষির জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
মাছের রোগ ব্যবস্থাপনায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করায় বেশি উত্তম। এ জন্য মাছ চাষে জীবনুনশক ব্যবহার করা উত্তম এবং বানিজ্যিক চাষে জরুরী।
মাছ চাষে জীবানুনাশক কি ?
বাজারে বিভিন্ন কম্পানির জীবানুনাশক পাওয়া যায়। এ দের মধ্যে রয়েছে টিমসেন, একুয়াক্লিন, পন্ডসেফ, ভাইরেক্স, ভিরকন এবং স্যানসিউর ইত্যাদি।
জীবানুনশক এর মূল উপাদানঃ
বেনজালকোনিয়াম ক্লোরাইড এই জীবানুনাশক প্রধান উপাদান। ৮০% বেনজালকোনিয়াম ক্লোরাইড এর সাথে থাকে ইউরিয়া বা নাইট্রেট ২০ %।
কেন ব্যবহার করবেন পুকুরে মাছ চাষে জীবানুনাশক ?
রোগ সৃষ্টিকারী জীবানু (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি) ধ্বংস করে জীবানু ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে মাছ অ চিংড়ীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
মাছ চাষের পুকুরে জীবানুনাশক ব্যবহারের নিয়ম
প্রতি শতক পুকুরে ৩-৬ ফুট গভীর জলাশয়ের জন্য সাধারন অবস্থায় ৩ গ্রাম বা মিলি এবং জরুরী জীবানুনাশক হিসাবে ৫ গ্রাম বা মিলি. পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
অ্যালগাল ব্লুম নিয়ন্ত্রনে ৫-৭ গ্রাম বা মিলি পর্যাপ্ত পানির সাথে মিশিয়ে সমান ভাবে জলাশ্বযের সর্বত্র ছিটিয়ে দিতে হবে।
পাংগাস, তেলাপিয়া পুকুর প্রস্তুতিতে ৫ গ্রাম বা মিলি জীবানুনাশক পানিতে সমান ভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে।
হ্যাচারিতে ব্যবহার করতে ১-২ গ্রাম বা মিলি ১- ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে টাংকে সমান ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।