কোরবানির পশু পরিবহনে চাষি ও খামারির পাশে রেলওয়ে। স্বাভাবিক ভাড়ায় রেলে পরিবহন করবে কোরবানির পশু। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পথে পশু পরিবহন করবে রেল ওয়ে।
মঙ্গলবার রেলভবনে এ পরিকল্পনার কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের আলোচনা করে সম্ভাব্য তারিখ, রুট ও স্টেশন নির্ধারণ করা হবে। ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে যেকোন দিন থেকেই পশুবাহী ট্রেন চালু করতে পারে রেলওয়ে।
মন্ত্রী বলেন, মিটারগেজের একটি ওয়াগনে ১৬টি গরু এবং ব্রডগেজের একটি ওয়াগনে ২০ থেকে ২৫টি গরু পরিবহন করা যাবে। পশু পরিবহনের চাহিদা অনুযায়ী আমরা এই ট্রেন চালাবো। তবে এর চাহিদাপত্র প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আমাদের জানাবে। যেদিন এই চাহিদাপত্র পাবো সেদিন থেকেই পশু পরিবহনে এসব ট্রেন চলাচল করবে।
ঈদে যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচল বাড়ানো হবে কি না, জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত আর ট্রেন বাড়ানো হবে না। কারণ, তারা করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে দরকার না হলে যাতায়াত না করতে বলছেন। সরকারও একই কথা বলছে। এ অবস্থায় ট্রেন বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই।’
এর আগে ২০০৮ সালের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকায় মালবাহী ট্রেনে করে পশু পরিবহন করে রেলওয়ে, পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।