একদিকে বন্যা অন্যদিকে করোনা, দুইয়ের সংমিশ্রণে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। সবচেয়ে বেশি নাভিশ্বাস উঠছে কৃষকের, অনিশ্চয়তা কাটছেই না। ভালো ফলনে যেখানে হাসি ফোটার কথা মুখে, সেখানে খাবেন কিভাবে সে চিন্তায় চিন্তিত তারা। ভালো ফলনই সবকিছু নয় এমন ধারণা এখন আশঙ্কায় রূপ নিয়েছে তাদের।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাল ফলন হয়েছে কৃষি পণ্যের। খুব ভালো ফলন হয়েছে ঠাকুর গায়ের মিষ্টি কুমড়া চাষে। কিন্তু ফলনেও হাসি নেই, নেই নায্যমূল্য। বেড়ে গেছে পরিবহন ব্যায়, কমেছে দাম। খেত ও সড়কের পাশে হাজার হাজার মিষ্টি কুমড়া স্তুপ হয়ে পড়ে আছে, হচ্ছে নষ্ট। কৃষকের আশা সুলভ মূ্ল্যে ট্রাক ভাড়া পাওয়া যাবে, তাতে কিছু হলেও বিক্রয় বেড়ে লাঘব হবে কষ্ট।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক জানান, ১২০০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ হয়, যাতে ২৪ হাজার টন কুমড়ার উৎপাদন হয়। অন্যান্য জেলার তুলনায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন এবছর এ জেলায়।তার মতে পরিবহন খরচ দ্বিগুন হয়ে যাওয়ায় দাম কমে গিয়ে ৩-৪ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে কুমড়া। তাতে লাভ হবে না কৃষকের। তবে আশার কথা যে মিষ্টি কুমড়া সহজে পচে না তা্ই সহজে সংরক্ষণ করা যায়। উপপরিচালক আরও বলেন যে যদি কোন স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে পরিবহন সমস্যা যেমন মিটে যেত তেমনি কৃষকের মুখেও হাসি ফুটত।
তবে এতকিছুর মধ্যে কৃষকের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসন তাদের ত্রান বিতরণের খাদ্যদ্রব্যের সাথে একটি করে মিষ্টি কুমড়া যুক্ত করেছে, এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কৃষকেরা।