চাটমোহরে সিকি ভাগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনায় রয়েছে সেখানকার কৃষকরা। সেচ সুবিধা নেবার জন্য কৃষকদেরকে নির্ধারিত হারে ধান প্রদান করা হয়। আর এই দেবার ব্যবস্থাকেই সিকি ভাগ ব্যবস্থা বলা হয়। আর এই সিকি ভাগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার মুখে এখন স্থানীয় চাষিরা।
খোজ নিয়ে জানা যায় সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত ভিন্ন। কিন্তু তবুও কৃষকদের সিকি ভাগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার সামনা সামনি হতে হচ্ছে।
সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত সিকি ভাগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে
সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত অবশ্য সিকি ভাগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।
কিন্তু তাদের সিদ্ধান্ত সেচ যন্ত্রের মালিকরা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছেন।
সেচ বাবদ সেচযন্ত্রের মালিকরা চার ভাগের এক ভাগ ধান নিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে নিচ্ছেন।
কৃষকরা নির্ধারিত হারে টাকা পরিশোধ করতে চান।
কিন্তু অতিরিক্ত লাভের আশায় সেচযন্ত্রের মালিকরা টাকা নেন না।
বরং তারা কৃষককে উৎপাদিত ধানের চার ভাগের এক ভাগ দিতে বাধ্য করেন।
সেচযন্ত্রের মালিকদের এই ধান গ্রহণকেই সিকি ভাগ ব্যবস্থা বলা হয়।
সিকি ভাগ বলতে উৎপাদিত ধানের চার ভাগের এক ভাগ কে বোঝানো হয়।
তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে কৃষকদের মাঝে
ধানের এরূপ ভাগ নেবার এ প্রবণতায় তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে কৃষকদের মধ্যে।
বোয়াইলমারী গ্রামের কৃষক আফসার আলী।
তিনি বলেন, সেচযন্ত্রের মালিককে চার ভাগের এক ভাগ ধান দিয়ে দিতে হয়।
আর সেই ধান খেত থেকেই তাদেরকে দিতে হয়।
আবার তাদের অংশের সেই ধানও কৃষকদের নিজেদের কেটে দিতে হয়।
উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত যদিও সিকি ভাগ দেবার বিরুদ্ধে।
তবে সেটা মানেন না সেচযন্ত্রের মালিকরা।
এতে কৃষকদের অনেক লোকসান পোহাতে হয়।
উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম
তিনি জানান, চার ভাগের এক ভাগ ধান যা সিকি ভাগ নামে পরিচিতি তা নেবার কোনো বিধান নেই।
সেচ কমিটি সেচ গ্রহনের জন্য একটি চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
অনুমোদন দেওয়ার সময়ই সেচ মালিকদের নির্ধারিত সেচ এর চার্জ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। আর সকল সেচ মালিক এ বিধান মানতে বাধ্য।
কোনো সেচ যন্ত্রের মালিক এ বিধান অমান্য করলে তাকে আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন সিকি ভাগ প্রদানের বেলায় কৃষকরা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।