সরকারি উদ্যোগে ক্রয় কেন্দ্র খুলে এবং উৎপাদন খরচের সাথে বাড়তি ৪০ শতাংশ যুক্ত করে সকল কৃষি ফসলের মূল্য নির্ধারণ ও খোদ কৃষকের কাছ থেকে ফসল ক্রয়ের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট। ফ্রন্টের পক্ষ থেকে কৃষক সমবায় ও ভোক্তা সমবায় গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
ভারতের কৃষক স্বার্থবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। বক্তৃতা করেন কৃষকনেতা নিখিল দাস, বেলায়েতে হেসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, নাসিরউদ্দিন প্রিন্স প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ কয়েকটি রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজারের অধিক কিষাণীসহ ১২ লক্ষাধিক কৃষক ৯৬ হাজার ট্রাক্টরে ৬ মাসের খাবার রসদসহকারে গত ২৬ নভেম্বর থেকে রোড মার্চ করে দিল্লী অবরোধ করেছে। করোনা ও প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে পথে পথে ব্যারিকেড, জলকামানের আক্রমণ পুলিশের লাঠিচার্জ মোকাবেলা করে তারা দিল্লীর রাজপথে অবস্থান করছে। তাদের স্পষ্ট কথা, কৃষক স্বার্থবিরোধী বিতর্কিত তিনটি বিল প্রত্যাহার না করলে তারা রাজপথ ছাড়বে না। ভারত সরকারকে ন্যায়সংগত দাবি মেনে নিয়ে কৃষক স্বার্থবিরোধী আইন বাতিলের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষি উপকরণের দাম উর্ধ্বমুখী। প্রণোদনা, ভর্তুকি কৃষকরা তেমন পায় না। ক্ষেতমজুরদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা নেই। গ্রামীণ প্রকল্পগুলো দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। কৃষি ও কৃষক, ক্ষেতমজুরদের বাঁচাতে রাজপথে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।