অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে রাশিয়া থেকে তিন লাখ টন গম আমদানি করা বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখার উদ্দেশ্যে এ গম আমদানি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ও রাশিয়া সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) আমদানি করা প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৩১৩ মার্কিন ডলার। এতে মোট খরচ হবে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১১০ টাকা হিসাব করে বলা হয়েছে, এ গম আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রতি কেজি দাম পড়বে ৩৪ টাকা ৪৩ পয়সা।
চাহিদার বেশি ভাগ গম দেশে আমদানী করা হয়। বাংলাদেশে গম আমদানি করা হয় মূলত রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভারত থেকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬২ লাখ টন গম আমদানি করে, যার বেশির ভাগ আমদানি হয় বেসরকারি পর্যায়ে।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯১-৯২ অর্থবছর পর্যন্ত গম আমদানিতে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল সরকারের। ১৯৯৩ সালে সরকার বেসরকারি খাতকে প্রথম গম আমদানির সুযোগ দেয়।
রাশিয়া থেকে তিন লাখ টন গম আমদানি করবে বাংলাদেশ
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট গমের চাহিদার সরকারি পর্যায়ের অংশ ৯ লাখ ২২ হাজার টন। অর্থবছরের আড়াই মাসে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এক লাখ টন গম সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান। আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে তিন লাখ টন আমদানির।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারি পর্যায়ে দেশীয় উৎসের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকেও গম সংগ্রহ করার লক্ষ্য থাকলেও দেশীয় উৎস থেকে এবার এখনো সংগ্রহ করা হয়নি।
২০২২ সালের শুরুর দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এ দুই দেশ থেকে গম আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে দেশের বাজারে বেড়ে যায় গম ও আটা-ময়দার দাম। এদিকে ভারতও গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।