Sunday, 10 August, 2025

মাঘের বৃষ্টিতে ক্ষতি, দুশ্চিন্তায় তরমুজ ও ফুটিচাষিরা


তরমুজ ও ফুটিচাষিরা মাঘের বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার তরমুজ ও ফুটিচাষিরা এখন মাথায় হাত দিয়েছেন। মাঘের বৃষ্টিতে ক্ষতি  হয়েছে চারা ও চারা তৈরির জায়গা। নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন

শুক্রবার রাতে ভারী বৃষ্টি হয় কোটালীপাড়ায়

শুক্রবার রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নে ভারী বৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

‘জুলাই বিপ্লব’ এবং ‘যুব উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে। গত ৬ আগস্ট মিরপুরে Read more

ভেনামী চিংড়ি চাষে রোগের কারন, লক্ষন, প্রতিকার এবং চিকিৎসা

ভেনামী চিংড়ি (Vannamei shrimp, Litopenaeus vannamei) চাষ বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রোগবালাই এই চাষে অন্যতম Read more

কৃষি অফিসে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়।

তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে, শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে যে সমস্ত জমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার পরিমাণ অন্তত ৩০০ হেক্টর।

কলাবাড়ির হিজলবাড়ি গ্রামের তরমুজ ও ফুটিচাষি সুখচাঁদ বাড়ৈ।

তিনি বলেন, এবছর তিনি তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষের জন্য মাদা তৈরি করেছিলেন।

কিন্তু সে মাদা এখন আর নেই।

ভারী বৃষ্টিতে তার জমির সব মাদা নষ্ট হয়ে গেছে।

জমিতে এখনো পানি জমে আছে।

এই পানি না শুকালে নতুন মাদা তৈরি করা যাবে না বলে জানান এই কৃষক।

একটি নতুন মাদা তৈরি করতে প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লেগে যাবে।

আর এমন হলে জমিতে তরমুজের ফলন দেরিতে হবে।

এতে কৃষকের অনেক লস হয়ে যাবে।

ছোট ছোট মাদা ও টপ গুলোর সবই নষ্ট হয়ে গেছে

তরমুজ ও ফুটি চাষের জন্য জমিতে ছোট ছোট গর্ত করতে হয়।

তারপর জৈব সার দিয়ে মাটি তৈরি করে নেয়া হয়  যেগুলোকে বলা হয় মাদা ও টপ।

চাষিরা এই মাদা ও টপে তরমুজ ও ফুুটির বীজ রোপণ করে থাকেন।

হিজলবাড়ি গ্রামের ফুটি চাষি সজল বাড়ৈ।

তিনি বলেন, তিনি এবার তার দুই বিঘা জমিতে ফুটি চাষের চারা তৈরির জন্য টপে বীজ লাগিয়েছিলেন।

কিন্তু সব মাদা এখন বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃত্তিবাস পান্ডে।

এ বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি  জানান, এ বছর কলাবাড়ি ইউনিয়নে ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ফুটি চাষের কথা আছে।

এরই মধ্যে মাদা ও টপ তৈরি করা হয়েছিল প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে হঠাৎই ভারী বৃষ্টি হয়।

এই ভারী বৃষ্টিতে তরমুজ ও ফুটিচাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

ক্ষতির পরিমাণ বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

0 comments on “মাঘের বৃষ্টিতে ক্ষতি, দুশ্চিন্তায় তরমুজ ও ফুটিচাষিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ