নওগাঁ জেলার অন্যতম একটি উপজেলা পত্নীতলা উপজেলা। এই উপজেলায় সবচেয়ে বিলম্বিত জাতের গৌরমতি আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন একজন আমচাষী। দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নামের সেই আমচাষী সফল ভাবে তৈরি করেছেন গৌড়মতি আমের বাগান।পরিকল্পনাভিত্তিক মিশ্র এই ফলের বাগানে তার এই বিলম্বিত জাতের আম তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
বিলম্বিত আম চাষে চমক
দেলোয়ার এর গৌরমতি আম চাষের সফলতা দেখে এলাকার অনেক চাষী এখন উৎসাহ পাচ্ছেন। এই আমের বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রায় সকলে। নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার হাড়পুর মৌজায় এই ফলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। প্রায় পয়ষট্টি বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে মিশ্র ফলের এই বাগান। প্রায় পনের বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন লেট ভ্যারাইটির গৌরমতি জাতের আম বাগান। মিশ্র বাগানে আমের পাশাপাশি আছে মাল্টা,কমলা এবং পেয়ারা গাছের সমাহার।
চলতি বছর সাড়ে ছয়শ গাছের মধ্যে আড়াইশ গাছে আম উৎপাদিত হয়েছে। এই জেলায় পর্যায়ক্রমে মেনাগফজলী, গোপালভোগ, ন্যাংড়া, খিরসাপাতি, আমরুপালী, আশ্বিনা ও বারি ফোর জাতের আম বিক্রয় শেষ হয়েছে। বাজারে অথবা বাগানে আর কোন আম নেই এখন। এ অবস্থায় গৌরমতি জাতের আম বাগান থেকে উত্তোলন শুরু হয়। এই আমের মৌসুম পনের সেপ্টম্বর পর্যন্ত। এ বছর এই বাগানে একশ মন গৌরমতি জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিলম্বিত আম বাজার জাত শুরু করেছেন দেলোয়ার।
প্রতিমন আম প্রথম দিকে বারো হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। সর্বশেষ বর্তমানে প্রতিমন আম দশ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে তার এই আম।পাইকারীভাবে প্রতিমন আম গড়ে নয় হাজার টাকা হিসেবে বিক্রয় হয়। এই চাষী এ বছর কমপক্ষে নয় লক্ষ টাকার আম বিক্রি করার প্রত্যাশা করছেন।
সুস্বাদু, সুমিষ্টি এবং মৌসুমের সর্বশেষ জাতের কারনে লাভ জনক এই আম ।আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার জনৈক মোশাররফ হোসেন সহ অনেকেই আমচাষী । কেউ কেউ ইতিমধ্যে এই জাতের আম বাগান গড়ে তোলার উদ্যেগ নিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, গৌরমতি জাতের আম চাষে কৃষি বিভাগ থেকে এই কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। আম উৎপানের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামশ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।