ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন কৃষি এবং কৃষকের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতা। দেশের জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছিল তাঁর অন্যতম প্রয়াস। সেজন্য তিনি প্রথম বাজেটেই কৃষকের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছিলেন এবং ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছিলেন। কৃষিক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা দিয়েছেলেন। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় দেশ আজ খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এক ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষির উচ্চতর শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণের দিকে দৃষ্টি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর গঠিত ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনে প্রস্তাবিত রিপোর্টে প্রায়োগিত শিক্ষা, বিশেষ করে কৃষিশিক্ষাকে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বস্তরে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছিল।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারির সভাপতিত্বে এবং বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের পৃষ্ঠপোষকতায় ওই ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেছবাহুল হক প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সঞ্চালনা করেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক।