বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গত দুই সপ্তাহে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ রোগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার পরও আক্রান্ত প্রাণিকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খামারীরা।
জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার চাঁনপুর, তেঘর, ডেরাহার, নন্দীগ্রাম সদর, পান্তাগাড়ী, গুন্দইল, হাটুয়া, বিজয়ঘাটসহ বিভিন্ন গ্রামে হঠাৎ গবাদি পশুর মধ্যে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহে পৌর শহরের দক্ষিণপাড়ার জাইদুল ইসলামের একটি, মিন্টু মিয়ার একটি, উপজেলার ডেরাহার গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের তিনটি, পান্তাগাড়ী গ্রামের নরেশ চন্দ্রের একটি, রিধইল গ্রামের আকবর আলীর একটিসহ ৩০টি গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কৃষক নরেশ চন্দ্র জানান, প্রথমে গরুর পায়ে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মুখ দিয়ে লালা ঝরে। রোগাক্রান্ত গরুটি হাঁটাচলা করতে পারে না। কোনো প্রকার খাবার খেতে পারে না। স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের মাধ্যমে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন। এরপরও এই রোগে আক্রান্ত গরুকে বাঁচানো যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.অরুনাংশু মন্ডল বলেন, খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা গেছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে খুরা রোগ প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় খুরা রোগের ভ্যাকসিন অপ্রতুল। তারপরও আক্রান্ত পশুগুলোর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।