চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক নতুন জাতের আমের দেখা মিলেছে। নতুন জাতের এই আমের নামকরণ করা হয়েছে ‘স্যান্ডি’ । এজাতের আমের দেখা পাওয়া গেছে নাজমুল হকের বাড়িতে। নাজমুল হক এই জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার অন্তর্গত রাধানগর ইউনিয়ন এর রোকনপুর গ্রামের বাসিন্দা । নতুন জাতের আম ‘স্যান্ডি’র গাছের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল গাছগুলোতে মুকুলের দেখা মেলে বছরের ১২ মাস ।
বাজারে যে সমস্ত জাতের আম পাওয়া যায় আমের সময়ে, স্বাদের দিক দিয়ে সে আমগুলোর থেকে এর স্বাদ অন্যরকম। অন্যান্য আমের চেয়ে এর ফলনও খুব বেশি হয়। একসাথে গাছে মুকুল ও আম ধরা এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে । তাই এই আম বছরের বার মাস পাওয়া যায় ।
গাছের মালিক আম চাষি নাজমুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান প্রায় বার বছর আগে তিনি এ গাছের চারা সংগ্রহ করেন। তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিদেশি জাতের এই গাছের চারা তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর কয়েক একর জমিতে আম বাগান করে আম বিক্রি করেন। তাছাড়া নার্সারি করে গাছের চারা তৈরি করে তিনি বিক্রয় করেন।
এই জাতের আম গাছের একটি চারা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান। তিনি নিজে এই আমের জাতের নাম জানেন না। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমের নাম স্যান্ডি বলে তাকে অবগত করেছে।
প্রতিদিনই এই গাছে মুকুল ফুটে। একটি থোকায় অনেকগুলো আম আসে। আঁশ বিহীন এই আম খেতে খুবই সুস্বাদু। এক একটি আম এর ওজন প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। স্যান্ডি জাতের আমের আবরণ খুব পাতলা। আমের রঙ হলদে হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বরাতে জানা যায়, এ জাতের আমের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লিচুর মতো কায় থোকায় অনেকগুলো ধরে, আর ১২ মাস মুকুল আসে। মুকুল একবার ভেঙ্গে ফেললে আবার মুকুল হয়। এই আম খেতে অনেক স্বসাদু।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, আম চাষি নাজমুল হক পরীক্ষামূলকভাবে ভারত থেকে স্যান্ডি গাছের চারাটি সংগ্রহ করেন। এই জাতের আম গাছ রোপণ করে ভালো সাড়া ফেলেছেন তিনি। ফলন ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে এর নামকরণ হয়েছে স্যান্ডি।