বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের আমলে দেশে সেচ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, সরকার সবসময়ই কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে নিয়োজিত। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কৃষিবিপ্লবের ওপর অত্যন্ত জোর দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেচের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে নিয়েছিলেন যুগন্তকারী পদক্ষেপ। তিনি নগদ ভর্তুকি ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে কৃষকের মধ্যে সেচযন্ত্র বিক্রির ব্যবস্থা করেন।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ বিএডিসি অডিটোরিয়ামে ‘ভূগর্ভস্থ পানি মনিটরিং ডিজিটালাইজেশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বিএডিসি ‘ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নে জরিপ ও পরিবীক্ষণ ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের’ আওতায় এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
জামার্নি থেকে জরুরি ভিত্তিতে পানির পাম্প এনেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সেই নীতি অনুসরণ করে সেচের আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও সেচ খরচ কমাতে নিরলস কাজ করছে। এতে সেচের এলাকা সম্প্রসারণের পাশাপাশি কমে এসেছে সেচ খরচও।
তিনি আরও বলেন, পানির টেকসই ব্যবহার ও পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী-খাল খনন ও পুন:খনন, রাবার ড্যাম,জলাধার নির্মাণ, পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতির ব্যবহারসহ অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। এতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এবং এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ফসল উৎপাদনে সেচের খরচ অনেক কমেছে, আরো কমিয়ে আনতে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। সেচ দক্ষতাকে ৩৮ শতাংশ থেকে ৫০শতাংশ উন্নীত করা হবে, যাতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ে ও সেচ খরচ আরও কমে আসে।
বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ ও পানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মজিদ, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান, প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর উল্লাহ ও বিএডিসির সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. আরিফ।