Sunday, 15 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

দুধের দাম নেই, বিপাকে গো-খামারি


গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং সে অনুপাতে দুধের মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের গো-খামারিরা। এতে চরম হতাশায় অনেকেই এ শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

জানা গেছে, উচ্চমূল্যে কেনা অধিকাংশ গো-খাদ্যে ভেজাল রয়েছে, যা খাওয়ানোর পর গবাদিপশু নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চাহিদা মোতাবেক ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা দিতে পারছে না। প্রতিনিয়ত কমছে দুধের উৎপাদন। প্রজনন ক্ষমতাও হারাচ্ছে গাভীগুলো।

তাই অনেক খামারি গাভীগুলো রোগাক্রান্ত হওয়ায় স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। খামারিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সরকারের প্রণোদনা ঋণ নিতে গেলেও উল্টো হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। এ কারণেই চরম হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছেন চিরিরবন্দরের সমবায় ভিত্তিক খামারিরা।

আরো পড়ুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারে ৫৬ কেজিতে মন !

দেশের বৃহত্তম আমের বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে আমের প্রচলিত 'ঢলন' প্রথা নিয়ে জটিলতা যেন কাটছেই না। দশকের পর দশক ধরে চলে Read more

কক্সবাজারের মিষ্টি পানে কৃষকের মুখে হাসি: রপ্তানি বৃদ্ধিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পানের রেকর্ড মূল্য পাওয়ায় আনন্দের জোয়ার বইছে স্থানীয় চাষিদের মনে। জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় ২০ হাজার পরিবার Read more

চিরিরবন্দর উপজেলা ডেইরি মিল্ক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ও খামারি মো. আনিসুল হক বলেন, করোনার কারণে ভালো নেই গো-খামারিরা। প্রতিদিন চিরিরবন্দরের ছোট বড় প্রায় ১ হাজার ১৮৭টি খামার থেকে বছরে ২১ হাজার ৩৩৩ মেট্রিক টন ও মাসে ১ হাজার ৭৭৭ মেট্রিক টন লিটার দুধ উৎপাদন হয়। খামারের দুধ জেলার বিভিন্ন হোটেল ও মিষ্টির দোকানগুলোতে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু গত ১১ দিন ধরে কোনো দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করায় নামমাত্র মূল্যে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার অনেকে দাম না পেয়ে রাস্তায়ও ফেলে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান করোনার জন্য ন্যায্য মূল্যে দুধ বিক্রি করতে পারছি না। গত বছরে যে লোকসান হয়েছে, এ বছরে তার চেয়েও বেশি লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। আমরা হয়তো আর খামার চালাতে পারবো না। আপদকালীন উপজেলার ৩টি স্থানে ৫০ টাকা লিটার দরে ভ্রাম্যমাণভাবে দুধ বিক্রি করা হচ্ছে। তাতেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। অন্যদিকে ছোট ছোট খামারিরা গরু বিক্রি করার জন্য হাটে হাটে ঘুরছেন।

চিরিরবন্দর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে আমার উপজেলার খামারিরা উৎপাদিত দুধ নিয়ে যাতে সমস্যায় না পড়েন সে কারণে আমি কোম্পানির সাথে কথা বলেছি।

খামারিদের উৎপাদিত অবশিষ্ট দুধ বাজারে সঠিকভাবে বিক্রির জন্য ভ্রাম্যমাণ গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যেসব খামারিরা দুধ বিক্রি করতে পারছেন না, তারা এই ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে দুধ দিচ্ছেন। এই গাড়ি আমাদের প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

0 comments on “দুধের দাম নেই, বিপাকে গো-খামারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ