Friday, 22 August, 2025

দারুচিনির চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা


দারুচিনিকে কেউ কেউ দাল চিনি বলে থাকে। মসলার দিক দিয়ে দারুচিনির ব্যবহার অনেক বেশি। সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর এ মসলা এখন বাংলাদেশেই চাষ হচ্ছে। বারি উদ্ভাবিত দারুচিনির চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আজকের আলোচনা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) সূত্র জানায়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি দারুচিনি-১ নামে একটি জাত অনুমোদিত হয়েছে। জাতটি এখন অনেকেই চাষ করে ভালো ফল পাচ্ছেন। অনেক বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে দেশের আবহাওয়া উপযোগী এ মসলা চাষ করে।

বারি উদ্ভাবিত দারুচিনির এ জাতটি উন্নতমানের আকর্ষনীয় বাদামী রঙের মিষ্টি গন্ধ ও ঝাঁঝযুক্ত মধ্যম পুরু (৩.৪ মি.মি.) বাকল যার আপেক্ষিক ওজন (১১.৬৭ গ্রাম/১০০ ব.সেমি.)। এদেশের আবহাওয়ার উপযোগী, খরা সহনশীল জাতটির গাছের বৃদ্ধির হার ও ফলন ভাল (৭১৪ গ্রাম/গাছ, ৩৮৫কেজি/হে.) এবং রোগবালাই এর আক্রমন কম।

আরো পড়ুন
কুমড়ার ফলন বাড়ানোর কার্যকর উপায়

বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে কৃষিতে কুমড়া একটি বহুল চাষকৃত ও জনপ্রিয় সবজি। সারা বছর চাষযোগ্য এই ফসলের পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য Read more

বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ রক্ষায় অভয়াশ্রম জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা

দেশের বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ চিহ্নিত করে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, বিভিন্ন Read more

দারুচিনির চাষের উপযোগী এলাকা:

বাংলাদেশের সব এলাকায় বারি দারুচিনি-১ এর চাষ করা যায়।

কখন দারুচিনি বপন করবেন ?

বৈশাখ থেকে আশ্বিন (এপ্রিল-অক্টোবর) তবে সেচ এর সুবিধা থালে শতিকার বাদে সারা বছর লাগানো যায়।

দারুচিনি মাড়াইয়ের সময়

আশ্বিন -ফাল্গুন মাস (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য মার্চ)।

কতটি কলম বা বীজ/চারার লাগাবেন

প্রতি হেক্টরে ৮৩৩০ – ১৬৬৬০ টি চারা বা কলম।

দারুচিনি বপন/ রোপনের দূরত্ব

এই মসলা উদ্ভিদ কিছুটা যত্ন করে লাগাতে হয়। চারা থেকে চারার দূরত্ব হওয়া উচিত ৬০ – ১০০ সেন্টিমিটার।

মসলা জাতীয় উদ্ভিদ দারুচিনির ফলন কেমন হয় ?

গাছ প্রতি ৩৫০-৬০০গ্রাম বা ৪০০-৬০০ কেজি বা ০.৪-০.৬ টন /হেক্টর।

রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন:

বারি দারুচিনি -১ মসলার রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন হয় না। এর তেমন কোনো ব্যবস্থাপনা নিতে হয় না।

দারুচিনির গাছে সার ব্যবস্থাপনা

দারুচিনি গাছ সাধারণত পাহাড়ে বা বনে জঙ্গলে লাগানো হয় বিধায় এতে তেমন কোন সার প্রয়োগ করা হয় না। তবে গাছের যথাযথ বৃদ্ধির লক্ষে সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।

নির্ধারিত দূরত্বে ৩০×৩০×৩০ সেন্টিমিটার প্রতি গর্তে ১-২ কেজি কম্পোস্ট বা পঁচা গোবর, ১০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৫০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করে গর্তের উপরের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।

0 comments on “দারুচিনির চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ