যে কয়েকটি দেশীয় ফুল রয়েছে কামিনী তাদের মধ্যে অন্যতম। অনন্য অসাধারণ একটি ফুল হচ্ছে কামিনী ।
কামিনী ফুলের বিভিন্ন রকম প্রজাতি রয়েছে । কামিনী ফুলের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে ইনডোর প্লান্ট হিসেবে। তবে এক্ষেত্রে ইনডোর প্লান্ট হিসেবে ব্যবহৃত কামিনী গাছে ফুল ফোটে না।
কামিনী ফুলের গাছ কম সুন্দর নয়। ইনডোর প্লান্ট হিসেবে গাছের সৌন্দর্য ই এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয়। কামিনী গাছের উৎপত্তি এশিয়াতে হলেও তবে ঠিক কোন জায়গায় তা জানা যায়নি।
আমাদের দেশীয় পরিবেশে কামিনী ফুল খুব সহজেই হতে পারে। টবে কামিনী ফুলের চাষ করা যায় কিভাবে চলুন জেনে নেয়া যাক।
টবে কামিনী ফুলের চাষ
বেলে-দোআঁশ মাটি কামিনী ফুলের জন্য বেশ উপযোগী। মাটি হতে হবে অতি উচ্চমানের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পন্ন। মাটি তৈরির সময় একভাগ বাগানের মাটির সঙ্গে, নদীর সাদা বালি মাটি মিশিয়ে নিবেন। এই মাটির সঙ্গে জৈব সার মিশাতে হবে।
জৈব সার হিসেবে পচা গোবর সার অথবা ভার্মিকম্পোস্ট ব্যবহার করতে পারেন। আবার গাছের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদির যোগান দিতে কিচেন কম্পোস্ট ব্যাবহার করা যায়। সে কারণে কিচেনের উচ্ছিষ্ট ব্যাবহার করা যেতে পারে।
কামিনী ফুলের গাছ খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ। খুব কষ্ট সহ্য করতে পারে। তাই গাছে জল না দিলে খুব তাড়াতাড়ি বা খুব সহজেই মরে যাবে না।
ফুলের গাছে পানি দেয়া বন্ধ করা যাবে না। আবার খুব বেশি জল দেয়া যাবে না। এ কারণে প্রতিদিন নিয়ম করে জল দিতে হবে।
জলের পরিমাণ বোঝার জন্য মাটিতে আঙ্গুল ঢুকিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন। যদি দেখেন যে আংগুলের দু গাঁট শুকনো তাহলে মাটিতে জল দিয়ে দিন।
কামিনী গাছকে প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা করে রোদে রাখতে হয়। প্রতি সাত-আট দিন পর পর নিম তেল স্প্রে করতে হবে। এতে পোকামাকড়ের আক্রমণ খুব একটা হবে না। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে, আগাছা উপরে ফেলতে হবে।
কামিনী ফুলের গাছ আকারে বড় হয়। এ কারণে কামিনী গাছের ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে, নতুবা পরবর্তীতে সমস্যা হবে।
এইভাবে নিয়ম মেনে যদি কামিনী ফুল চাষ করতে হবে। এতে বাগানের বা বারান্দার বা ছাদের শোভা বৃদ্ধি করবে কামিনী ফুল।