Thursday, 08 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

জনপ্রিয় হচ্ছে বিদেশি সবজি ‘স্কোয়াশ’


স্কোয়াশ একটি জনপ্রিয় বিদেশি সবজি। এটি দেখতে অনেকটা বাঙ্গির মতো হলেও স্বাদ কুমড়ার মতো। সবুজ ও হলুদ দুই ধরনের রঙের স্কোয়াশ পাওয়া যায়। এর পাতা ও কাণ্ড সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। বাংলাদেশে নতুনভাবে এটির চাষ শুরু হয়েছে। কুমিল্লায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে স্কোয়াশ চাষ।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এটি শীতকালীন সবজি। স্কোয়াশ চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। ভালো ফলন পেতে হলে জমি গভীরভাবে চাষ করতে হবে। শীতকালীন চাষাবাদের জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বীজ বপন করা হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে জমিতে সরাসরি বীজ বপন করা হয়।

বীজ রোপণের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস, মেঘনা, হোমনা উপজেলায় এই সবজির চাষ চোখে পড়ে। বেশি চাষ হয়েছে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মাঠে।

আরো পড়ুন
মৎস্য খামার ব্যবস্থাপনায় আসছে ‘স্মার্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ (IOT) , মোবাইল অ্যাপে হবে খামার মনিটরিং

বাংলাদেশে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে দূরবর্তী মৎস্য খামার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ Read more

দেশজুড়ে শুরু হলো মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা কার্যক্রম

বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা কার্যক্রম, যা চলবে আগামী ৫ জুন ২০২৫ পর্যন্ত। কৃষকের হাতে পৌঁছে Read more

মাঠে গিয়ে দেখা যায়, স্কোয়াশের লতা কুমড়ার লতার মতো। লতার নিচে বড় বড় স্কোয়াশ। কোনটির ওজন দুইকেজির মতো। গাছের গোড়ায় স্কোয়াশের বোটা লাগানো। দেখতে মনে হবে ডিমে তা দেয়া মুরগি তার ডিম আগলে রেখেছে।

দাউদকান্দির টামটা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, তিনি দুই তিন বছর ধরে এই সবজির চাষ করছেন। ভালো ফলন পাচ্ছেন। নিজে খাচ্ছেন কিছু বাজারে বিক্রি করেন।

স্থানীয় কৃষি সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, মিষ্টি কুমড়ার মতো সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি স্কোয়াশ। এর ক্রেতা বাড়লে কৃষকদের চাষে আগ্রহ বাড়বে। দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মাঠে জৈব বালাই নাশকের মাধ্যমে স্কোয়াশ চাষ করা হচ্ছে। এতে এই সবজি বিষমুক্ত থাকছে।

দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারেয়ার জামান বলেন, হেক্টর প্রতি স্কোয়াশের গড় ফলন ৪৫-৫০ টন। একটি গাছে গড়ে ১২-১৬ কেজি ফল হয় যায়। প্রতি বিঘা জমিতে স্কোয়াশ উৎপাদনের জন্য খরচ হয় ৯-১০ হাজার টাকা। মুনাফা হয় ৬০-৭০ হাজার টাকা। স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুপার শপে এর চাহিদা ব্যাপক। এ ছাড়া রেস্তোরাঁতেও স্কোয়াশের চাহিদা রয়েছে।

0 comments on “জনপ্রিয় হচ্ছে বিদেশি সবজি ‘স্কোয়াশ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ