ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সারাদেশে হয়েছে বৃষ্টিপাত। এর ব্যতিক্রম নয় বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। অসময়ের বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হবার ভয় পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ১২ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। সীতাকুণ্ড আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। বৃষ্টির এ পরিমাণ রেকর্ড হয় গতকাল সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। অসময়ের বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি ও রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জেলার কৃষি বিভাগ।
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড হয় ৬১ মিলিমিটার
সীতাকুণ্ড আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মাহিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, তিন দিন ধরে পুরো উপজেলার আকাশ মেঘলা রয়েছে।
যার ফলে সূর্যের কোনো দেখা মেলেনি এ কদিন।
গত শনিবার বিকেল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় এ অঞ্চলে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গতকাল সোমবার।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি আর রোপা আমন ধান এর ক্ষতি হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
শস্য ও সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সীতাকুন্ডের কৃষকেরা।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকুল এলাকার কৃষক মো. আবদুল আলিম।
তিনি জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাঁদের।
তাঁর খেতে টমেটো ও শিমের ফুল আসতে শুরু করেছিল বলে জানান এই চাষী।
তবে সব ফুল ঝরে যাচ্ছে গেল তিন দিনের বৃষ্টিতে।
অন্যদিকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বীজতলায় লাগানো বিভিন্ন সবজির বীজও।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, সীতাকুন্ড উপজেলার ফসলের খেত গুলোতে শিম, টমেটো, মিষ্টি আলু, ভুট্টা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, স্কোয়াশসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়েছে এ বছর।
তবে এ বৃষ্টির কারণে সে সকল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে ৭৫ হেক্টর রোপা আমন ধান, ১০ হেক্টর বিভিন্ন জাতের শিম, ৫ হেক্টর খেসারি ডাল, ৪ হেক্টর বিভিন্ন জাতের সবজিসহ মোট ৯৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
তিনি জানান, বৃষ্টিতে নষ্ট হতে পারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, স্কোয়াশ, বেগুন, ধনেপাতাসহ নতুন লাগানো সবজি।
বৃষ্টির পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
এদিকে অনেকেই রোপা আমনের ফসল কেটে এখনো মাঠে ফেলে রেখেছেন।
তাঁদের দ্রুত ফসল ঘরে তুলে নিতে হবে।
না হলে তাঁরা আরও বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে ধারণা তার।