ক্রেতা সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার তরমুজ ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতিতে চলা লকডাউনে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তরমুজে পচন ধরছে বলে জানান স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর তরমুজের ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। লকডাউনের আগে অধিকাংশ চাষিরা তরমুজের ভাল দাম পেয়েছে। হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট।
তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুছ বলেন, লকডাউন কারণে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। দুই চারটা যা বিক্রি করছি তাও ভাল দাম পাচ্ছি না।
ব্যবসায়ী মো. জলিল জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু কিছু তরমুজে পচন ধরেছে।
কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়ায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শঙ্কা রয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এ উপজেলা ১৫’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। লকডাউনের আগে ভাগেই চাষিরা ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছে। ওইসময় তারা দামও ভাল পেয়েছে।