Tuesday, 02 December, 2025

ভুবন চিলের সেবায় ‘পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার’


অসুস্থ একটি ভুবন চিল উদ্ধার করে বগুড়ার স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার। গত ১৬ জুলাই বগুড়ার সোনাতলার দড়িহাসরাজ গ্রামের সাতবিলের তীর থেকে পাখিটি উদ্ধার করা হয়। পাখিটি উদ্ধার করে পরিবেশ উন্নয়ন পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে পাখিটি অবমুক্ত করা হয়।

জানা যায়, দড়িহাসরাজ গ্রামের যুবক জিয়াউর রহমান ও সাগর পরিবেশ উন্নয়ন পরিবারকে তথ্য দেন যে, এখানে একটি অসুস্থ ঈগল পরে আছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশ উন্নয়ন পরিবারের সভাপতি ইমরান এইচ মন্ডল, গণমাধ্যমকর্মী সাজেদুর আবেদীন শান্ত, জুলফিকার ইসলাম, সজল চন্দ্র ও সাজ্জাদকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৪টায় দাড়িহাসরাজ গ্রামের সাতবিলে যান। তারা সেখান থেকে অসুস্থ পাখিটি উদ্ধার করেন।

পরিবেশ উন্নয়ন পরিবারের সভাপতি ইমরান এইচ মন্ডল বলেন, ‘আমরা পাখিটিকে খুবই অসুস্থ অবস্থায় পাই। এরপর সেখান থেকে পাখিটি আমাদের তত্ত্বাবধানে রেখে বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাসের পরামর্শে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাই।’

আরো পড়ুন
গ্যাসের দাম বাড়লেও এর সঙ্গে সারের দামের কোনো সম্পর্ক নেইঃ কৃষি উপদেষ্টা

কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ (বুধবার) ঘোষণা করেছেন যে, গ্যাসের দাম বাড়লেও এর সঙ্গে সারের Read more

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ১৭টি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ কীটনাশক এখনো ব্যবহার হচ্ছে
কীটনাশক স্প্রে করা কৃষক

বিশ্বজুড়ে 'অত্যন্ত বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত কমপক্ষে ১৭টি কীটনাশক উপাদান বাংলাদেশে এখনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা দেশের জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য Read more

তিনি বলেন, ‘তিন দিন চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর পাখিটি সুস্থ হয়। এসময় আমরা পাখিটিকে মাছ, মুরগির কলিজা, গরুর মাংস ও ভেট স্যালাইন খাওয়াই।’

বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন,‘পাখিটি উদ্ধারের পরপরই সংগঠনের সভাপতি ইমরান আমাকে ফোন দেন এবং পাখিটির ছবি মেইল করেন। আমি পাখিটির ছবি পর্যবেক্ষণ করে তাদের জনাই, এটা ভুবন চিল।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পাখি সাধারণত মাংস জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। পাখিটি উদ্ধারের সাথে সাথেই আমি তাদের ভেট স্যালাইন খাওয়াতে বলি। তারপর বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এরপর সব সময় পাখিটির খোঁজ-খবর নেই।’

পাখিটি সম্পূর্ণ সুস্থ হলে গত ১৯ জুলাই পাখিটিকে বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাসের পরামর্শে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করে সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার বন্যপ্রাণি রক্ষাসহ পরিবেশের উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ চালানোসহ অনেক ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে।

0 comments on “ভুবন চিলের সেবায় ‘পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ