Thursday, 11 December, 2025

দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ প্রকল্প বরাদ্দ ২০৭ কোটি টাকা


বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের ২০৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে বিষয়ে সভায় জানানো হয়।

এ প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলায় কাজ করবে।

প্রকল্পের আওতায় ১৬০টি অভয়াশ্রম স্থাপন, ২৪০টি অভয়াশ্রম পুনঃসংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, ১৬০টি পাহাড়া শেড নির্মাণ, ১৯৬টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হবে। এসব কর্মযজ্ঞে ২০৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সভায় বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিলূফা ইয়াসমিন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এসএম আশিকুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আনসারী, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, আহসানুল করিমসহ জেলে, আড়তদার, মৎস্য কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি মাছের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি এবং উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সভাপতি হবেন। তারা দেশীয় মাছ রক্ষায় কাজ করবেন। ২০২০ সালের জুনে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

0 comments on “দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ প্রকল্প বরাদ্দ ২০৭ কোটি টাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ