এক সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরে সবজির দাম বেড়েছে। কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি সবজি। এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শনিবার (১২ জুন) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বরবটি প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পানি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, কার্টিনাল আলু ১৫-১৬ টাকা, শিলআলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৪ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচকলা প্রতি হালি ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১০-১২টাকা এবং বিভিন্ন ধরনের শাক আটি প্রতি ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব কমতে শুরু করেছে। দাম আরও কমতে পারে। এছাড়া রংপুর অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে আদা প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা, রসুন ৬০-৭০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের দরেই ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫০-১৫৩ টাকা, দুই লিটার ৩০০-৩০২ টাকা, তিন লিটার ৪৫০ টাকা ও পাঁচ লিটার ৭২৫-৭২৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট, নাজিরশাইল, বিআর-২৮ ও ২৯ চালের দাম গত সপ্তাহের মতই রয়েছে। খুচরা বাজারে মিনিকেট বিক্রি করা হচ্ছে ৬২-৬৪ টাকা, নাজিরশাইল ৬০-৬২ টাকা, বি-আর ২৮ ৫০-৫১ টাকা, বি-আর ২৯ ৪৫-৪৬ টাকা এবং কাটারিভোগ ৬০-৬৫ টাকা এবং স্বর্ণা ৪৫-৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতই রয়েছে মুরগির দাম। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৩৫ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।