রাঙামাটিতে চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। উন্নত চাষাবাদ ও উপযুক্ত আবহাওয়া উৎপাদিত তরমুজে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তরমুজ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে জেলার বাইরে বাজারজাত হচ্ছে বলে জানান তারা।
রাঙামাটি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর রাঙামাটি জেলায় তরমুজ চাষ হয়েছে প্রায় ২৪০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন ছিল ৯ হাজার ৬০০, যা সাফল্যজনক। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় তরমুজ আকারে যেমন বড় হয়েছে, তেমনি মিষ্টিও হয়েছে। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি তরমুজের চাষ হয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
এছাড়া সদর উপজেলাসহ বরকল, নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও কাউখালীতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় চাষিদের মাঝে চাষাবাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এসব জেলায় টোফেল, গ্লোরি ও চ্যাম্পিয়ন জাতের তরমুজের বীজ আবাদ হয়ে থাকে।
তরমুজ বিক্রতা মিন্টা চাকমা বলেন, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত। আর মাঝারি আকারের প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ১০০ টাকায়।
চাষি সুমন চাকমা জানান, চলতি মৌসুমে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজের চাষ শুরু করে তিনি। পাহাড়ের পাদদেশে মাত্র ৩০০ মাদার (গর্ত) মধ্যে তরমুজ চাষ করা হয়। প্রতিটি মাদায় ৩ থেকে ৪টি করে তরমুজ হয়েছে। সময়মতো পানি সারসহ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলনও হয়েছে বাম্পার। শুধু এ মৌসুমে লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। সম্প্রতি প্রায় ৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, এবার মৌসুমেও রাঙামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। পাশাপাশি বিশেষ মুনাফা লাভের সুবিধা পাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
তিনি বলেন, উপযুক্ত আবহাওয়া, জমির উর্বরতা এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙামাটিতে প্রতি বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়। এ বছর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে লংগদু উপজেলায়। এসব উপজেলার উৎপাদিত তরমুজ এখন রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে সয়লাব করেছে।