সকাল বেলা লেবু-পানির জাদুকরী ৫ গুণের কথা।
১. ওজন কমাতে সহায়ক ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে একগ্লাস মধু মেশানো লেবু পানি খেলে আপনার ওজন কমবেই। বিশেষ করে পেটের চর্বি কাটাতে এটি দারুণ সহায়ক।
২. লিভারকে সচল রাখতে লিভারের মাধ্যমেই শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের হয়। সকালে লেকু-পানি পান করলে লিভারে চর্বি জমতে পারে না। এটি আপনার দেহের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণ।
৩. কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে। যাদের এরই মধ্যে কিডনিতে পাথর জমেছে, তারা লেবু-পানি খেলে উপশম পেমে পারেন।
৪. মুখের গন্ধ দূর করতে ঘুম থেকে ওঠার পরপরই বাসি মুখের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না অনেকেই। এটি হয় দীর্ঘক্ষণ মুখের ভেতরটা শুকনা থাকায় ব্যাকটেরিয়ার জন্মের কারণে।
লেবু-পানি খেলে মুখের ভেতরে ফিরে আসে আর্দ্রতা। আর সাইট্রিক অ্যাসিড দূর করে ব্যাকটেরিয়া। পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধও যারা সহ্য করতে পারেন না, তারাও খাবার খাওয়ার পর পান করতে পারেন লেবু পানি। মুখের সব গন্ধ এতে দূর হবে।
৫. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লেবু-পানির ভিটামিন সি ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের জন্যও দারুণ কাজ করেএই পানীয়। ত্বকের আর্দ্রতাও বাড়াতে সাহায্য করে এই পানীয়।
লেবুর অপকারিতাঃ
লেবু খালি পেটে খেলে অনেকের গ্যাস হতে পারে। এ জন্য লেবু পানি সহ্য না হলে বাদ দিতে হবে।
লেবুর অপকারিতাঃ
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা আলোচনাতে রাখা দরকার।
পানিতে লেবুর রস এসিড সমৃদ্ধ কিছু প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে অতিরিক্ত লেবু পানি খাওয়ার ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যেতে পারে ।
যদিও লেবু পানি পান করার সুবিধা অনেক বেশি, তবে অতিরিক্ত সেবনে কিছু অসুবিধা রয়েছে এখন আপনাদেরকে কিছু অসুবিধার কথা জানাবো আশা করছি ব্যাপারগুলি আপনাদেরকে কোন না কোন ভাবে উপকৃত করবে।
দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়া
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু পানি সেবন করেন তাদের দাঁতের এনামেল এবং ডেন্টিং ক্ষয় হয়। এবং হাইপারসেনসিটিভিটি অনুভব হতে পারে।
লেবু অতিরিক্ত এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় অন্যান্য কোমল পানীয়র মত অতিরিক্ত লেবুর রস সেবন করার ফলে দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্টি হতে পারে। দাঁত ভালো রাখতে লেবুর জল খাওয়ার পরে ব্রাশ করে ফেলা ভালো। দাঁত ভালো রাখতে অবশ্যই দৈনিক দু’বার ব্রাশ এবং ফ্লসিং করা উচিত।
ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে
কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার ফলে বহুমূত্র রোগের সমস্যা হতে পারে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন এমন কোনো গবেষণা নেই যা প্রমাণ করে অতিরিক্ত লেবু রস আমাদেরকে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা ফেলতে পারে।
আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস ব্যবহার করেন এবং আপনার এই অভিজ্ঞতা হয়, তবে আপনাকে বুঝতে হবে এটি লেবুর রসের কারণে নয় বরং পানিজাতীয় অন্য কোনো সমস্যার কারণেও হতে পারে ।
তবে একটি বিষয় মানা হয় যে লেবুর মত এসিড জাতীয় ফল প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে,যদি আপনি বহুমূত্র অথবা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য এক সপ্তাহ লেবুর রস গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পারেন অথবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে
কিছু কিছু মানুষের জন্য লেবুর পানি সেবন করা তাদের মাইগ্রেনের সমস্যার কারণ হতে পারে।
গবেষণা অনুসারে আপনি যদি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে বেশি লেবু পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই আপনার জন্য ভালো,হয়তোবা এটি আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে অথবা আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা ফিরিয়ে আনতে পারে।