গমে রয়েছে প্রচুর শর্করা, পোটিন এবং আশ। এ জন্য গমের রয়েছে চাহিদা। অনেক দেশে গম প্রথম খাদ্য শস্য। বাংলাদেশে খাদ্য ফসল হিসেবে গম দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
গম ‘পোয়ায়েসি’ পরিবারভুক্ত ঘাস জাতীয় একটি উদ্ভিদ এবং বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে পরিচিত। দানাদার শস্য বীজ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য গম আনুমানিক ১০,০০০ বছর পূর্ব থেকে চাষ শুরু হয় ।
গমের ভেষজ গুন ও উপকারিতা
কি কি পুষ্টি গুণ গম হতে পাওয়া যায় ?
প্রতি ১০০ গ্রাম গমের আটায় রয়েছে আমিষ ১২.১ গ্রাম, শর্করা ৬৯.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ১১.৫ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৯ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.৪৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.২৯ মিলিগ্রাম, আঁশ ১.৯ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.৭ গ্রাম এবং জলীয় অংশ থাকে ১২.২ গ্রাম।
ভেষজগুণ গমের ব্যবহার
গমের দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং গমের গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট গুরূত্ব রয়েছ।
গমের উপকারিতা:
দাতের ক্ষয় রোধক: গম পাতার রস দাঁত দীর্ঘায়ূ করার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন । দাঁতের মাড়িকে ও এটি সুস্থ রাখে ।
অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল : গমে রয়েছে অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান । আপনার শরীরে বাসা বেধে থাকা সমস্ত ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়াগুলিকে নিমূল করার জন্য এটি একটি অদ্বিতীয় উপাদান ।
ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন: একজিমা রোদে পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটিকে অয়েন্টমেন্টের মতো ব্যবহার করলে দ্রূত ফল পাাবেন । ব্রন বা মুখের দাগের ক্ষেত্রেও এটির উপকারিতা পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রনে রাখে : গম পাতার রসে থাকা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রাখে ।
খুশকি দূর করে : আপনি যদি গমের রসকে মাথায় লাগিয়ে রাখেন ও তারপর ১৫ মিনিট পরে মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার খুশকি নিয়ে দুশ্চিন্তায় মিটে যাবে ।
গাটের ব্যাথাকে কমায় : যে বয়সই হোক না কেন এটি গাঁটের ব্যাথাকে কমানোর ক্ষেত্রেও একে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃ কৃষি তথ্য সার্ভিস