চলতি মৌসুমে নওগাঁ জেলার আত্রাই, রানীনগর ও সদর উপজেলার দক্ষিনে বিলাঞ্চলে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।
এবছর কর্তনকৃত ধানের হিসেবে প্রতি হেক্টরে চালের আকারে ৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে জেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৯৯০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৮শ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৮ হাজার ৪শ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৩৭০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ১৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন, ধামইরহাট উপজেলায় ১৮ হাজার ৬০৫ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৫ হাজার ২৩০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮ হাজার ৫০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৮৫ হেক্টর।
জেলায় চলতি বছর উন্নত ফলনশীল জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে জিরাশাইল, ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৫৮, কাটারীভোগসহ প্রায় ২৬ জাতের ধান চাষ হয়েছে। অপরদিকে হাইব্রীড জাতের মধ্যে তেজ, এসএল-৮ এইচ, হিরনা-২, হিরা-৬ ও ঝলকসহ প্রায় ২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন হিসেবে এ বছর জেলায় মোট ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাসমছুল ওয়াদুদ জানান, জেলায় পুরো ধান কাটাতে মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার ৪০জন শ্রমিকের প্রয়োজন। আর নওগাঁ জেলায় স্থানীয়ভাবে শ্রমিক রয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৫জন। ঘাটতি ৭৮ হাজার ৮৫৫জন শ্রমিক অন্য জেলা থেকে নিয়ে আসতে হবে।
লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকট হবে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাথে পরামর্শ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের স্ব-স্ব উপজেলায় শ্রমিকের চাহিদাপত্র প্রেরন করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক দেশের অন্য জেলা থেকে আনয়নের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। ধান কর্তনের জন্য শ্রমিক সংকট হবে না।