Friday, 26 September, 2025

করোনায় মাশরুমের চাহিদা বেড়েছে


কুমিল্লায় করোনায় মাশরুমের চাহিদা বেড়েছে। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় ভোক্তারা চাহিদা অনুযায়ী মাশরুম পাচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাশরুমের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।

কৃষি সংশ্লিষ্টদের সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে কুমিল্লায় প্রচুর মাশরুমের উৎপাদন থাকলেও এর চাহিদা ছিলো না। প্রচারণা না থাকায় মানুষ মাশরুম খেতে চাইতো না। এখন মাশরুম খেতে চাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না।

কুমিল্লা সদর উপজেলার ছত্রখিল গ্রামের চাষি চন্দন কুমার সাহা। তিনি ১৫ বছর ধরে মাশরুম উৎপাদন করেন। তিনি বলেন, ৫/৬ বছর আগে কুমিল্লায় শতাধিক চাষি মাশরুম উৎপাদন করতেন। বর্তমানে তা ৫/৬ জনে নেমে এসেছে। প্রচারণা না থাকায় আগে মানুষ মাশরুম খেতো না।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

এখন মাশরুমের অনেক চাহিদা। গরমকালে মাশরুমের উৎপাদন কম হয়। তার খামারে দুই থেকে তিন কেজি মাশরুম পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু চাহিদা রয়েছে ১০০ কেজিরও বেশি। কৃষি বিভাগ মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ করলে তরুণদের বেকারত্ব দূরের সাথে মানুষ পুষ্টিকর মাশরুম খেতে পারবে।

কৃষিবিদ গোলাম সারোয়ার ভুইয়া বলেন, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মাশরুমকে সুপার ফুড হিসাবে বিবেচনা করেন। নিয়মিত মাশরুম খাওয়ার অভ্যাস করলে এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক বাড়িয়ে দেয়। এতে করোনাসহ সকল রোগের বিরুদ্ধে মাশরুম সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। আগে কুমিল্লায় মাশরুম উন্নয়ন ও জোরদারকরণ প্রকল্প ছিলো। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখানে ভাটা নেমে আসে।

মাশরুম উন্নয়ন ও জোরদারকরণ প্রকল্প কুমিল্লার সাবেক কর্মকর্তা, বর্তমানে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এখানে স্থবিরতা নেমে আসে। ইচ্ছে করলে সেই উদ্যোম ধরে রাখা যেত। মানুষের প্রয়োজনে মাশরুম চাষ জনপ্রিয় করা প্রয়োজন।

হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাশরুম একটি পুষ্টিকর খাবার। এটি কম জায়গায় অল্প পঁজিতে চাষ করা যায়। প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। এ সংক্রান্ত বড় বরাদ্দ পাওয়া গেলে আরো বেশি মানুষের মাঝে মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দেয়া যাবে।

0 comments on “করোনায় মাশরুমের চাহিদা বেড়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ