প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
করোনা মহামারীর সময়ে রাষ্ট্র ঘোষিত লক-ডাউনে ভোক্তাদের সুবিধার্থে মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি কার্যক্রম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
লক ডাউনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে দুধের বাজারমূল্যের নিম্নগতি, ডিম এবং মাংসের অত্যধিক উর্ধ্বগতির হাত থেকে ভোক্তা ও খামারিদের বাঁচাতে গৃহীত পদক্ষেপে খুশি ভোক্তারা।
গত ১২ এপ্রিল মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস. এম. ফেরদৌস ভ্রাম্যমান ভাবে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
জানা গেছে, ভোক্তাদের চাহিদা সামাল দিতে প্রাণিসম্পদ অফিসে কর্মরতরা রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাব মতে, মানিকগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত ৪৩,০৭,২৮১ টাকার প্রাণিজ পণ্য ভ্রাম্যমাণ ভাবে বিক্রি হয়েছে। ন্যায্যমূল্যে দুধ,মাংস, ডিম পাওয়ায় তারা খুব খুশি।
ভোক্তাদের একজন চলমান কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “প্রাণিসম্পদ অফিসগুলো যদি এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তাহলে মানুষের ভোগান্তি আরও কমে যাবে।”
এ ব্যাপারে জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “আমরা জেলা অফিসের নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় ন্যায্যমূল্যে প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। এই কার্যক্রমে একদিকে যেমন ভোক্তাদের সুবিধা হচ্ছে তেমনিভাবে খামারিরাও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে।”
সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।