জোনাকি মিষ্টি কুমড়া চাষে সফলতা পেয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের খোয়াজপুর গ্রামের কৃষক আলী হোসেন লিটন। এই সফলতা দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও এখন মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি জানান, চলতি বছরের মাত্র ৩০ শতক জমিতে হাইব্রিড জোনাকি ও সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। জানুয়ারি মাসে বীজ রোপণ করেন। মার্চের প্রথম দিকে গাছে ফুল আসে। এর ১৫ দিন পর কুমড়া বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়। ফলন খুব ভাল হয়েছে। প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেছেন ৩০ টাকা করে। এখন মাচায় প্রায় ছয়শ কুমড়া ঝুলে আছে। এভাবে টানা জুন মাস পর্যন্ত গাছে ফুল ও ফল আসবে।
তিনি আরও জানান, জুন মাস পর্যন্ত গাছ থেকে প্রায় ২ হাজার কুমড়া পাওয়া যাবে। সবগুলো বিক্রি করে আসবে ৬০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে লাভ হবে ৫৫ হাজার টাকার মতো।
এই কুমড়া বিক্রির আয় দিয়ে তিনি শসা ও করলা চাষ করবেন। এর জন্য তিনি ৬০ শতক জমিও তৈরি করে রেখেছেন।
জানা যায়, জোনাকি ও সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়া সারা বছর চাষ করা যায়। এই কুমড়ার আকার চ্যাপ্টা-গোলাকার। হালকা খাঁজ যুক্ত। একেকটি কুমড়ার ওজন ৪ থেকে ৫ কেজি করে। আর একর প্রতি ফলন হবে ১৮ থেকে ২০ টন। কুমড়ার মাংসল অংশ থাকবে অত্যন্ত পুরু। অন্য জাতের কুমড়া থেকে জোনাকি ও সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়া বেশি মিষ্টি স্বাদযুক্ত।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার বলেন, ‘মিষ্টি কুমড়া চাষ লাভজনক। বাজারে দামও বেশি। এবছর আমরা এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২১ টি প্রদশর্নী প্লটে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করিয়েছি। এই প্লটগুলোতে কোন রাসায়নিক সার বা কিটনাশক ব্যবহার করা হবে না।’